নাসির ওয়াদেন
বিনিদ্র রাত পেরিয়ে
সোনামাখা দিন নিজস্ব রঙ থেকে বেরিয়ে
অদেখা চিন্তাগুলির রেখার ভেতরে নাচে
খয়েরি দাগের বাতাস এসে কানে কানে বলে
প্রত্যূষের আলোকণা রোদের ক্ষেত্রফল নেই
বিনিদ্র রাত পেরিয়ে দিনের নাব্যতা মেপে
না-পাওয়া অভিমানীবৃষ্টি ভর্তুকির চাঁদ ধরে,
লবণাক্ত ধৈর্য্যগুলো জন্মকাল থেকেই অন্ধ
বঞ্চনার ভোরে সোনালি ডানার নাচ অনিন্দ্য
থাকা আর না-থাকা দুয়ের মাঝামাঝি থেকে
জীবন আমিময় হয়ে যায়
সবার অলক্ষ্যেই,
ক্লান্ত কর্মব্যস্ততার শহর
আকাশের পাঠ শেষ, ক্লান্ত মনময়ূরীর ডানা
বৃষ্টি আলগা হলে
মাঠে মাঠে চরে বেড়ায়
জেনে রেখো এবার বর্ষা চলেই যাচ্ছে,,,,
যুবতী দুপুরের টগবগে রক্তে টলমল যৌবন
টেথিসকোপগুলো ঝুলছে সময়ের গলায়
অবেলার ডাক জিরিয়ে নিচ্ছে রোগীর দেহে
ঝিমিয়ে পড়েছে পুরাতন প্রেসক্রিপশন,
জিরাফ,,,,
ঔষধের শিশি থেকে রক্তের কটুগন্ধ ভাসে,
বিদ্রূপের ছাট ঢুকেছে কিছুটা মগজের
ভেতরে
সাবালক হাওয়া মিশে গেছে শ্রেণিসত্তায়
পদবি নিয়ে বাছবিচার মনুষ্যত্বের আঁচল
পাঁক থেকেই পদ্মফুল তো ফোটে
কখনও কখনও বাসি ফুল
ক্লান্ত কর্মব্যস্ততার শহর, উঠোন জুড়ে বিদ্বেষ
আকাশের পাঠ খোলা,সৃষ্টির তন্তুবায় শুরু ও শেষ
এসরাজ ও অসংখ্য টংকার বাজো
বাম পথে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে
ডান পথে এসে পড়ি, কিছুই জানি না
ডান থেকে বামে, বাম থেকে ডানে
কোন পথ যে গন্তব্যে পৌঁছবে, বুঝি না
সময়ের তরবারি হাতে কাটি কেবল বিশ্বাস
প্রত্যয় বৃক্ষের ডালে আধ ফোটা ফুলকলি
প্রচ্ছন্ন চাঁদের আলো মলিন শ্রদ্ধা মিশিয়ে
কীভাবে বেরিয়ে আসে ভগ্ন সেতুর শেফালি
সন্ন্যাস পথ কাম সন্ধ্যার পাশে জ্বলন্ত উনুনে
পোড়ায় অস্পষ্ট অভিমানগুলো , বুক খোঁজে
স্বপ্নের ঐতিহাসিক রাজহাঁস দরজা পেরিয়ে
বাজায় এসরাজ, আর অসংখ্য টংকার বাজে
আসলে মৃত্যু উপত্যকা চারপাশে,অশরীরীর হাত
খোঁজে চৌদ্দপুরুষের জীবনপঞ্জি,ধারালো করাত ।