নন্দিনী সেনগুপ্ত
অস্ফুট
অক্ষর রেখেছ ঠোঁটে
বিষাদের চুম্বন শেষে,
কবিতারা যদি জেগে ওঠে,
ভেসে যাবে, প্রেম যাবে ভেসে।
কবিতা রেখেছ চোখে,
ছন্দের আশ্লেষে মধু
ঝরে তবু অবিরাম শোকে;
ভোর জানে, এসেছিল বঁধু।
স্মৃতি রাখো আঙুলে,
পঙক্তিরা খুঁজেছিল ফাঁক;
প্রেম ভেসে যায় কার ভুলে?
বাকি থাকে, কথা বাকি থাক!
বিরাম
অপারগ স্বর ছিল উদারার প্রান্তের নিচে।
ভোর এলে এভাবেই রেখো।
বেঁধোনা,
বেঁধোনা টান টান ঋজু। নরম আলোর নিচে-
ছুঁয়ে যাক ধৈবত তারে।
নদী তাকে এভাবেই ছোঁয়-
হাওয়াও আলতো হেসেছে, ‘ফিরে এলে কবে?’
আধখানা ঘর ছাওয়া বাকি রেখে নামে দ্বিপ্রহর।
তবু ভালো, শুকিয়েছে কাঠ। নৌকারা-
কিছুদিন মুখ গুঁজে বালিতে উপুড়।
অপারগ স্বর আজ বিশ্রামে ডানা মুড়ে রাখে।
সম্ভাষণ
মেঘ ছুঁয়েছে,
জল ছুঁয়েছে,
গাছ ছুঁয়েছে হৃদি।
পথ ভুলেছে মনের কথা,
ও মন, তোকে কি দিই?
মেঘ ছুঁয়ে যায়,
জল ছুঁয়ে যায়,
গাছ ছুঁয়ে যায় তোকে।
আমায় ফেলে কোথায় যাবি?
ভীষণ দেবো বকে।
বাতাস ছুঁলো,
সুর ছুঁয়েছে,
আঙুল ছুঁলো বাঁশি।
অবুঝ ঢেউও জেনে গেলো,
তোকেই ভালোবাসি!