সুদীপ ঘোষাল
চন্দ্রাবলীর সংসার
আমাদের জ্যোৎস্না রাতের ঘর
দুজনে দুজনের দেহে আলো মাখাই
মন জুড়ে ক্যাপসিক্যামের আদর
আলুপোস্ত আর মুগের ডালে রসনা
তৃপ্ত
ঝাল লাগলে জলের স্নেহ মাখি...
ওপাড়ে যে কুটীর দেখা যায় গোলাপ
ঘেরা
তার পাশ দিয়ে বয়ে চলে ঈশানি নদী
দুপুরে শ্রমিকের ঘাম ধুয়ে দেয়
উদার কুলুকুলু স্রোত
ওটাই আমাদের শীতল আশ্রয়ের আদর
আমি মাঠে কাজ করে ফিরি যখন
ঈশানীর হাওয়ায় দোলে প্রতিক্ষারত
চাঁদমুখ
খুশির হাওয়ায় জেগে ওঠে রাঙা
সূর্যের রোদ
চন্দ্রাবলীর পরিশ্রমের ঘাম চেটেপুটে খাই
খিদের পাতে...
সারাংশ
গঙ্গার জলে মন খারাপের গন্ধটা
গেলো না
আমার জিভে নোন্তাজলের স্বাদ,ঢোক গিলছি
বাধ্যস্বরে
সহজ সুরে মেতে যায় কলরব, মনের কোণে
তবু বিষন্নতা
যে যার ঘরে ফেরে আপন ঘর ভুলে মোহবশে
গঙ্গাবক্ষে থাকে
উলঙ্গ ছেলে কোলে অসংখ্য মা
ওরা সারাংশ বোঝে কি? সত্য নির্জন
সে ঘর
বিসর্জনের পরেও তাই ওদের ঘরে
ফেরার তাড়া নেই
ওরাও মিলিত হবে সম্মেলনে, আপন ঘরে...
জাহাজ
জাহাজ ভাসছে নদীর মাঝে
মামুলি সাজে
অজান্তে স্মৃতির ভিতরে হঠাৎ -প্রেম জাগে
হৃদয় ভাসার দিনে আঁচল ছায়ায়
এলোমেলো নৌকো ছিপছিপে হাওয়ায়
ঢোকে খেয়ালে নৌকার গলুই ঘরে কেউ
অবাক নয়ন পাগল হতো উথাল
পাতাল ঢেউ
নৌকা ভুলে, জোয়ার
স্রোতে
জাহাজ ভাসে কেন
নৌকার অই গলুই ঘরে
পোড়াবাঁশি বাজে এখনও...