শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

অনুপম দাশশর্মা


অনুপম দাশশর্মা

ফিরেছে নিরো

নিঃশব্দে প্রবেশ করেছে দূর্মতি
ইতিউতি চেয়ে দেখছে ধূর্ত চালবাজ
একমুঠো আতংক বাতাসে ভাসালেই
একে একে ভেঙে পড়বে পিপিলিকার
বসবাস।

এরপর? শুধুই সংখ্যার মাদারিখেল।
উদ্বিগ্ন সমাজ নতমুখে দেখবে
শিক্ষার ভগ্নদুয়ার
হতাশার ধূসর আকাশ হাহাকার ছড়িয়ে
আঘাত হানবে পারস্পরিক বিশ্বাসে

আপনি এককোণে বেহালার ছড়
তুলে নেবেন তো হে কলঙ্কিত সম্রাট?






ভিন্নধর্মী প্রদীপের আলো

"চুরি করে নেব আপনার সব কবিতা"
তন্বিষ্ট পাঠিকা ফিসফিসিয়ে উঠল।
বললাম, নিও। যখন মেনেই নিয়েছি
এই পৃথিবী শুধুই কামনার।

"কামনা? আপনিই বলুন কবি কেনো এক একটি
কবিতা পাঠের পরে চোখে জমাট বাঁধে কান্না?
কী করে সহসা বহুমূল্য হয়ে ওঠে আমার
মামুলি ভাবনাগুলো আপনার কবিতার
প্রতিটি পঙক্তিতে?"

কী বলি, কীই-বা বলার থাকতে পারে।
আশ্চর্য প্রদীপের সাক্ষাৎ এভাবেই বোধহয়
পেয়ে যাই পাঠিকার বিমূর্ত উপহারে।






হৃদয়ে গড়া উপনিবেশ

তোমার দুই চোখে অপরাজিতার নীল
মুখাবয়ব জুড়ে গোলাপের মিছিল
তোমার নরম নজরের বাকহীন ভাষায় খুঁজে পাই
পাতাবাহার গাছের ফাঁকে ছোট্ট গাংচিল

এইটুকু বলে আমি ফিরে চলে গেলাম সীমান্তে
সেখানে রোদ্দুর কথা বলে নির্জন বাতাসের সাথে
আমি হাঁটু গেড়ে বুঝে নিই বাকহীন প্রণয়
তোমার না-বলা ভাষার

তবে কী আজন্মলালিত আনন্দের তূর্য
এভাবেই বেজে ওঠার অপেক্ষায় থেকেছি
প্রতিটি দিনরাত?

কিছু তো বলো।  দেবে কী তোমার কুটিরে গড়তে
দ্বৈত উপনিবেশের একমাত্র বরাত।