বৈশাখী চক্রবর্তী
নিজের পাতা
কখন চলে গেছ
বিবর্ণ ত্রিফলা পেরিয়ে
দ্যুতিময় চির অলৌকিক পথে
ম্লান আলোয় কাঁপছে বিমর্ষ প্রত্যাশা
কিছু ফেলে গেছ?
ছেঁড়া মাদুরের নিচে কিছু মুদ্রাসঞ্চয়?
মিথ্যে হয়ে যাওয়া
এক জীবন স্তব্ধতা?
এতোদিন তাড়া ছিল হিসেবী বাঁচার
ছিল নতমস্তক চাওয়ার যন্ত্রণা
আজ জীবন ফিরিয়ে দিচ্ছে
জীবনের মানে
মৃত্যু কীভাবে হারে সে শুধু ভালবাসা জানে।
হারানো সুর
আমার নিজস্ব কোনো নৌকা-কাহিনী নেই
নেই জলডুব পানকৌড়ির অলৌকিক অন্ধ পালক
ধারাবারি মেঘলা চিবুকে তারাজগত
কবিতার পঙক্তিমালা ফুটে ওঠেনি
কোনোদিন ঈশ্বরীর অসুখের মতো।
জ্যোতিষ্কহীন ধূসর বাতাসে
লেগে আছে শূন্যতার অবুঝ পুলক
অভ্রান্ত আলাপে হারিয়ে ফেলা হরিণবেলার
কাঁপাকাঁপা কিছু ঝরা শব্দ,
আমার ভিতর শুধু ছলছল করে
প্রথম ভালবাসার অসহ গোলাপবাগান।
রাতের দুরভাষ
আমাদের কোন কথা নেই।
কথা থাকতেও নেই। তবু
ওই যে,
জোনাক এঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলে ভুলে
নীল আকাশ নেমে এলো ভোরের পুষ্করণীতে
তোমাকে ভেবে মাটি সাজলো শিউলি ফুলে
তুমি ভেবেই হারিয়ে গেলাম সবুজ অরণিতে।
সেই যে
দুর আকাশের তারা,
আমাদের প্রথম দুরভাষ।
আমাদের কোন কথা থাকতেও নেই।
তবু রাতের আকাশময় ছড়িয়ে থাকে তারা
হীরের কুচির মত ভালবাসার কথারা।