রমা সিমলাই
বলা তো যায় না
বলা তো যায় না,
তোর শরীর থেকে খুবলে
খুবলে সুখটুকু খেয়ে,
যোনিতে ভয়ানক অসুখ
রেখে
আমি তোর মৃত্যু
হলাম।
মধ্যমেধায় প্রেম
রেখে,
লিঙ্গদেবতার অনুকরণে
তুই তখনও সাঁতরে
চলেছিস সন্ততিসুখ,
'ভরা বাদর, মাহ ভাদর" ।
আমি তোকে দোষ দেবো না
তুই বরং তুলাদন্ডে
একশো সাতকেজি
অসম্মান জড়ো করে,
মানানসই পুংজন্ম
সার্থক কর মেঘে রোদে
দুগ্ধ - মদ্য - ঘৃতে
!
ফিরে এসে তোকে আমি
ঘৃণা দেবো,
রূপসী
ঘৃণা !
- যাকে চেটেপুটে খেয়ে
তুই নিজেকে
প্রেমিক ভাববি !!
প্রেম গোবর
প্রেম গঙ্গাজল
প্রেম মধুময়
স্বগতোক্তি
কবিতা ভাবতে ভাবতে
চাকরী করলাম
চাকরী করতে করতে
সংসার
ভাবলাম
সংসার করতে করতে
ব্যর্থতা জানলাম
ব্যর্থতা জানতে
জানতে
জ্যামিতিক শূন্যতা
শূন্যতার একটা
নিজস্ব পাণ্ডুলিপি আছে....
আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে
রাখে অনায়াসে সোঁদা গন্ধে
ছাড়িয়ে যেতে
চাইলেও পারছি কোথায় ?
অলৌকিক বাতিস্তম্ভে
একা একলব্য আমি
দিকনির্দেশ
তামাশা করিস না সুখ!
অষ্টাদশী নষ্টচাঁদে
বাস্তুসাপের বাহারি
ঘরকন্নায়
কখনোই প্রাঞ্জল পরাগমিলন নিবিড় হয় না
শুধুমাত্র এ'কথা জানার জন্য
বিধাতাপুরুষ হয়েছি আমি
কবিতার দিব্যি
আমার নতুন কবিতায়
চতুর্দশীর চাঁদ
গর্ভবতী হবে
সবেমাত্র জানতে
পারলাম,
নবান্নের গন্ধে
পোয়াতি চাঁদের গা গুলিয়ে উঠেছে
আর
শীৎকারসর্বস্ব
অন্ধকার গুটিগুটি পায়ে বরফশীতল
ধারাপাতে
নামতায় নামছে, দুর্গাস্তোত্রম আর
আজানের সেতু
পুষ্পবৃষ্টি করবে
বলে পান্ডুলিপির পাশাপাশি হাঁটছে
মুখোশ খুলে মুখোমুখি হ' সুখ
অন্ততঃ
একবার
পোয়াতি চাঁদের
শরীরে ভবিতব্যের দিকনির্দেশ