শ্রাবণী সিংহ
বাঁশবন ও লুপ্তকথারা
সব লেখাই লুপ্ত হয় বারংবার লিখিবার তরে''-
লুপ্ত হয় সব লেখাই
বারংবার লেখা হয় তবু
সব লেখাই ......
লুপ্ত বাঁশবন নিজেই করে নিজের রোপন
প্রবৃত্তির ব'দ্বীপে।
একদা লুপ্ত ভালোবাসার ভুল আঁচড়ে
নৈঃশব্দ্যের আইডোগ্রাফ
যার ভেতর বাইরে বৃষ্টি হয় রোজ ...
আজও এবং অজ্ঞাতসারে।
লুপ্ত প্রেমের খোঁজে ফিনিক্স হয়েছি
এসো দেখো
মাথা ঘুরে পড়ে আছি ঘাসে
আশায় আশায়
দু'একটা অবাঞ্ছিত কাক বিরক্ত মোষের পিঠে..
খড়ো চালে উড়তা শালিক
এখন দুপুর হতে না হতেই
বিকেল আর বিকেলগুলো সন্ধ্যের দিকে।
ভাঙাচোরা গাছের কোটরে ঢুকে যায়
অন্তরীণ পাখি ও শীতলতা
জটিল সূত্রের গ্রাফ ধরেই
সহজ হয়ে আসবে জীবন,
এই আশায় বুক বাঁধি।
আশায় আশায় ফোটাতে পারি
অভ্যন্তরের ফুল
জলবায়ুরহিত অঞ্চলে
স্বপ্ন দেখাও
স্বপ্ন দেখাও তাই দেখি
স্বপ্ন হল প্যারানরমাল শুশ্রুষা
স্বপ্নে দেখি বর্ণিল কাঠের লামাবাড়ি...দোতলা
ফ্রয়েডের চশমা দিয়ে দেখলে
স্বপ্নের অপব্যাখ্যাও মেলে না
দিনের নিহিত সব ছাপ ফেলে অবচেতনে,
বৃত্তাকারে তাই সাজাতে
বিনিদ্রকে ডাকছে 'আয়' ঘুমের বড়ি
ছোট গোল,বর্ণ হলদে কিঞ্চিৎ
বাতাসের আনাচে কানাচে ছুটে বেড়াচ্ছে আগুন মঞ্জরী
কারও পৌষমাসে,কারো সর্বনাশে