লিপি সেনগুপ্ত
সাংকেতিক
সংকেত পেতে পেতে সাংকেতিক ভাষা
বুঝে গেছি সব
মিছরির মত চুষে চুষে নিই তার
কুচি!
এখনও বেলা পড়ে এলে টের পাই
পাখিদের পাখসাট, খুঁনসুটি।
এসব কি সেই ভাষা নয়?
স্থির জলের ভাষা যারা জানে
পারে বসে থাকে
নির্নিমেষে!
মাঝি,সে'ও তাকায়, দূরে.....
ধ্রুবতারা আকাশের বুকে
কি যেন বলবে!
সে ভাষাও চেনা চেনা লাগে।
লতাপাতা জড়ানো সায়াহ্নে
পাথরকুচির মত কত শত মুখ!
ভালোবাসা বোঝে কেউ! কেউ বা
অবুঝ—
সংকেত বোঝে!
আমি নির্বাক নিভৃত নিশীথ
একাকী লিখি...
ভাষাহীন দিনলিপি, সতত
সাংকেতিক!
নিঃশব্দ চরণে
গমের দানার মত মসৃণ অভিমান গায়ে
বিকেল নামে
এপারে গাঢ় অনুভূতি
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁতে চাওয়ার!
পায়ে পায়ে হাঁটে পথ
পথের ঠিকানা নামগোত্রহীন
নুড়ির বুকে বাজে না তো কনসার্ট!
চেয়েছিল যে সৌখিন সেতু!
সে কি শুনেছিল নিঃশব্দ চরণের
আহট্?
তবু অবেলায় ফিরে আসে পথ
ছায়ামাখা বসন্ত উড়নি
না বলা কথাও পড়ে নেয় চোখ
মাঝে যদি থেকে যায় সিন্ধুবিষাদ!
নিষ্ক্রমণ
অনেক মায়াবী নদী পেরিয়ে
তীরের উঁচু পাথরে যার আশ্রয়
তার দৃষ্টি স্থির!
কপালে পিঙ্গল জ্যোতি চন্দন!
মাছরাঙা রুপোলি দেহ ছুঁতে
ডুব দেয়, অতলে
ভিক্ষুক বেশে,
দৃষ্টি নীল জলে।
মৌনী পাহাড়, ডাকে—
কে দেবে সাড়া?
মহানিষ্ক্রমণ?
সে পথ ক'জনই বা জানে
হাঁটু জলে অনেকেই হাঁটে মনে
মনে!