দেবযানী
বসু
আধভাঙা
কান্নার প্রাণী
ধূসরের
সর ফেলেছ বিকেলের স্থলপদ্মে। কিছুটা ভৌতিক ফুল পাহাড়ের ছাই মেখে উড়ে যাচ্ছে। পলিমাটির
গুণ গেয়ে নদী বয়ে চলেছে। ধান ফুলের কর্কশতা চোখ শুষে নিতে চেয়েছে। যা কিছু বাতাসকে বলেছি সব বিসর্গ মেখে
ফিরে আসে। পদ্মের নাল বেয়ে শ্বাসকষ্ট ওঠে। পদ্মবীজও চেনা হল। মাটি খুঁড়ে কবর দেওয়া
কষ্ট থেকে গাছ উঠে ফলভারাবনত হয়েছে। এখন শুধু
ছবির পালা ছবিদের সেজে ওঠার পালা। ইঁদুরের বসবাস ফিরৎ দিয়েছি পৃথিবী কে। চিরহরিৎ ধ্বংস
হচ্ছে না। শীতের চাদর ছিঁড়ে কচি কবিতা মাথা তুলছে। পাঁচশো বছর আগেকার হাড় জোড়া লেগে
নতুন মানুষ জন্মাচ্ছে।
বুনো
নীলের বিকালে
ছকের উপর
উবুড় হয়ে পড়ে চিরকালের চেকমেট। কে কোথায় ঋণী
সব বেসিন ঘুরিয়ে উঠে আসছে। শরতের কথা আর বর্ষার কথা বলি বারবার। চোখকানা বৃষ্টির
কথা সারাবছর বলেছ। নক্ষত্ররা নদীশরীর এঁকে
চলেছে। উরুর অলংকার স্থলপদ্ম ছাওয়া। ওরাই সান্ত্বনা দিচ্ছে যা গেছে তার যাক। ওরা আঘাত
সহ্য করে। ধ্বংসের গন্ধে পাথর আরো পাথর। চোখের কোল জুড়ে বালিয়াড়ি। আবিষ্কার ভুলে
গেছে ঢেউ। গাছের গুঁড়ির ঋতুকালীন উপসর্গ ফিরে আসে। কঠিন বরফের ভিতর কিছু নজরানা রাখলাম।
উঁচু আকাশ থেকে তা দেখা যাচ্ছে। ঠিক চিনের প্রাচীর।এলুরা অজিন্ঠার গুঁড়ানো স্তনের
অভিশাপ হিসহিস করে।
পিঠে
পাতা ছক
রিমোটে
ধরে ফেলি মেঘ। পাখিদের ভাতের থালায় রোদ পড়ে। জল পড়ে। বাড়ি ছেড়ে যেতে যেতে শব্দবন্ধ
হয়ে পড়ে দেহ। খিদে নিয়ে খেলা করা পঞ্চভূতের স্বভাব। চড়ুই রঙের বিস্কুট মনের অন্দরে।
বিস্কুটের ছক্কা পাঞ্জা লুকানো ডানার ভাঁজে। বরফের মায়া ছেড়ে এসে কী লাভ। সেই গায়ে
ধুলো লেগে। বাতাসের হৈচৈ ঠিকানা ফেলে দেয় ওজন ভারি হয়ে এলে। মানুষের জন্য যে পৃথিবী
নয় সেই পৃথিবীর দায়িত্ব বিড়ালের জিভে শিশিরের স্বাদ এনে দেয়। ছকের ভিতর পা থেকে
পিঠ অব্দি ডাইনোসরের চোখ বিঁধে আছে।