সোনালি পুপু
বর্ণ মালা
মন আছে তাই মনের
কথাই
বলা কেবল বলা?
কে শুনতে চায় নগন্য
এক পান্থের
পথচলা।
অক্ষরেরা দাঁড়িয়ে
থাকে ভরতে ফুলের ডালি
কুড়িয়ে নিতে মালার
জন্য এগিয়ে আসে মালি
সবাই তাকায় বেঁকা
চোখে
কানের কাছে গুঞ্জন
অকেজো আর বাতিল
বলেই
হাওয়া ভাসে নিস্বন
মালি ব্যস্ত মালা
গাঁথায়
ফুলের সংগে কারবার
লোকের এত নিন্দে
মন্দ
সময় কোথায় শোনবার?
সাদা আলোয় পদ্ম
কোরক
মহাশ্বেতা জানেন
অক্ষরেরাই তিলক
পড়ায়
একলা কবির ভালে।
বোধ
সেই কত দিন আগে
আমায় ইকড়ি মিকড়ি
খেলে
শব্দ চেনালে মা,
বাবার মত হাতের
লেখা
কিন্তু হল না আমার
খালি গল্প আর গানেদের
খালি সুর আর ভালবাসাদের
খালি প্রতিবাদ
আর প্রণামদের
বুকের মধ্যে আঁকড়ে
রাখলাম।
সেই আষাঢ় আর ভেসেআসা
মেঘের আঁধার
সেই শিউলি ফুলের
গন্ধ আর ঢাক
সেই হিম হিম মাংকি
টুপি আর তারাবাজি
আর এত্ত আদরের
ওম
দু হাতের মধ্যে
ধরে রেখে দাঁড়িয়ে আছি
সামনে দৌড়ে যাচ্ছে
ব্রেক্সিট
সুইস চকোলেট সুরার
পাত্র
নেশাগ্রস্ত
পৃথিবী রক্তাক্ত শৈশব
বলছে পালাও পালাও
আমি ছোট্ট ঘরে
তোমার দোতলার বারান্দা
থেকে ঝুঁকে
বলছি
এত ভয়ের কিচ্ছুটি
নেই
থামো
ফিরে দাঁড়াও
দেখো সবুজ পাতায়
জবাকুসুমসঙ্কাশ
আলো বলছে
মাভৈঃ
আরে পাগলেরা মুখ
তুলে দেখো
আকাশ তো আকাশই
আছে
যেমন ছিল সেই ছোটোবেলায়।
বেদনা
গংগার ঘাটে কত
জল
জোয়ারভাটা
সিঁড়িতে কত মানুষের
পায়ের ছাপ।
জল তুমি জানো?
কি যন্ত্রণা বুকে
নিয়ে বসে আছে ঐ মা
তোমার ঘাটে যে
আজ
ছেলের জন্য পিন্ডদান
করতে বসেছে।