অনুপম দাশশর্মা
অনুপাতে বিশ্বাস সিদ্ধ
সত্যি বলছি। বিশ্বাস করুন। ভীষণ ভয় লাগে
এই যদি মিলে যায় অনুপাত, শব্দের, কারোর সাথে
কী জানি কি ঘটবে অঘটন
শব্দের ঘরে তো কোনদিন ঢুকতে দেখিনি অনটন
তবু...তবু যদি মানে একেবারেই নিরীহ ভাবনায়
আঙুল থেকে টুপ করে খসে পড়ল ব্যবহৃত শব্দের বন্ধনী
অপরাধী হতে হবে মেধার দোষে?
একটি বাক্য ভিন্নতাপে কি রচিত হওয়া মহাদোষের?
কিংবা পেটেন্ট কি লাগু হয়েছে অক্ষরপিছু?
কী নিশ্চয়ই বেদম রেগে যাচ্ছেন তো মশাইয়েরা
তাহলে থাক
ঢাকা থাকুক, চাপা থাকুক উন্নত লেখাগুলো চেখে দেখার
তীব্র সাহিত্যপ্রেম
শুনতে হবে না পড়ে ঝেঁপে দেওয়া হয়েছে
সেলাইয়ের হেম।
উন্নাসিক নুড়ি পাথর
পথময় ছড়িয়ে আছে নুড়ি পাথর
একটার সাথে বাকিদের দূরত্ব নামমাত্র
তাহলে খন্ড-ত কেন নাক উঁচিয়ে বলছে
"আমিই সেরা"
প্রতিটি নুড়ির গায়ে লেগে আছে সংগ্রামের ছাপ
পাথরে বোবা উল্লাসের তীব্রতা
অথচ খন্ড-ত এধার থেকে ওধারে দৌড়ে
ছিনিয়ে আনছে পথিকের নজর
একঝাঁক সারস উড়ে যায় দূর আকাশে
নীচে মায়াময় ঘাস, লেপ্টে শুয়ে আছে
মাটির মহিমা
খন্ড-ত বোঝেনা মাটি ছেড়ে সরে যাওয়া মানে
সেন্ট হেলেনায় বন্দি থাকা
নাকে লেগে থাক খন্ড-ত
বিনিময় হতে থাকুক সারল্যের অন্তরজয়।
অস্বীকার করি কী করে
শুধু ধরে রাখতে হবে বলে হেলায়
হারিয়েছি সময়ের ইতিকথা
আমার করতলে বিঁধেছিল প্রাচীন আশ্রয়
বহমান জ্যোৎস্নামায়ার
দৃশ্য সাজাতে কতবার যে চেয়েছি
চাঁদের অভিমান
বায়ুর দেয়ালে লেখা হল স্পর্শহীনতার ব্যথা
অথচ স্মৃতি বড় সর্বনাশী
তৃষ্ণার্ত করে তোলে কবিতার খাতা
আশেপাশে ধোঁয়াটে ভয় দোদুল্যমানতার
পুরনো শব্দ রূপান্তরিত হয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে
মনোযোগী রোদ
আমিও পুনর্জাত অক্ষরের বেদীমূলে আসন পেতে
লঘুচালে সাজিয়ে নিচ্ছি সময়ের চিরন্তন
সবুজ সমীকরণ।