বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

চিরঞ্জীব হালদার


চিরঞ্জীব হালদার


কাহিনি শুরু করার আগে বলা ভালো
আমি না-জানি ইতিহাস না-জানি ভূগোল।
মেষ পালক আর চারণভূমির কথা যখন ওঠে,
এমন এক দেওয়াল যার সামনে তুমি  প্রার্থনা করছো তারও কথা উঠতে পারে।
পারস্য খয়ের ছাপ দাদীর সেমিজ এর কথা উঠতে পারে।
বলা ভালো আমার নিরীশ্বর স্বপ্ন গুলো
মধ্যপ্রাচ্য থেকে হাঁটতে হাঁটতে কোন নীল নক্সাছাড়া
নোন্তেবালির বকুল গাছের সামনে দাঁড়িয়ে
জানিয়ে যায় আমার কবন্ধ শরীর থেকে খোয়া যাওয়া কবজ কুন্ডলের কথা ।
নিজস্ব কুরুক্ষেত্র থাকলেও রথ নেই।
স্বপ্ন বললো এই নাও ইস্রাইলকে সারথি বানাতেই পারো।
তবে অদৃশ্য রথ থেকে কিন্তু......
কিন্তুর পর আর কি কি ছিল জানা হলো কই।।

এই বাপপিতামোর শিতলপাটিতে ছ্ব্বঁয়ে থাকা মেরুদন্ড,মাতুলদাদীর যাঁতি আমার ভূগোল আর ইতিহাস সম্পর্কের পাশে তৈলহীন পিলসুজের মত।
সব স্মৃতিকাতর মেঘেরা আদিপুস্তকের পাতায়পাতায় বৈঠকী গল্পে বুঁদ।
ধর্মযুদ্ধ ফেরত মুসাফিরকে বড় জোর বকুলদানা বাঁশি দিতে পারি।
ইতিহাস আর ভূগোল ফেরতের কথা কি বলা ছিলো অস্ফুট কিন্তুর পর।






আশ্চর্য এক চেয়ার।
যার খোপে খোপে কয়েক'শ ছারপোকা।
এরা কখনও অতিকায় নেকড়ের মত চেয়ারকে
মহানুভবতা দান করে।

এই আসবাব এমন এক বস্তু
যেখানে অসংখ্য নক্ষত্র পাত পেড়ে খেতে আসে বর্ন পায়েস।
আর দেখে নেয় সমস্ত জানালায়
সঙ্গমরত পোকাদের ঈশ্বরীয় চেতনার লঘু সঙ্গীত।
চেয়ারের এক একটি হাতল মোঙ্গলীয় নাগরিকের
ছুতোরপনার চরম নিদর্শন।
তার সুক্ষ্ম কারুকাজের ভেতর কয়েক'শ রক্তচোষাপ্রানীর আবাস স্থল।
ওহো ভুলে গেছি কুড়ি ডিগ্রী কাত করা
মেরুদন্ড ঠেকানো জায়গাটির গথিকতা
সুচারু হাই দ্বারা নির্মিত।
ওরা হাই তুললে  কয়েক'শ হাহা-হিহি উকুন
বেরিয়ে আসতে পারে যাদের গনতান্ত্রিকতা
অনেক কিতাবপদ্ধতিকে হার মানাবে।

এমন একটি চেয়ারের এক পোষা মনস্তত্ত্ববিদ আছে।
তার ঘুমকে এই চেয়ারের কাছে বন্ধক রেখে
প্রতিদিন আপেল বাগানে ধর্মপুস্তক পাঠ করেন।
আসলে






মিথিলা আর চাঁদবতীরা কেন আমার দিদি হল বুঝতে পারিনি।

স্বভাবত কবিতামামার কাছে তার ছেলেরা বায়না
ধরতেই পারে।
আমাকে  রোবট যান এর জন্য বায়না ধরেনি।
তাতে ইংরাজী অক্ষরে লেখা নেইভ।
রূপচাঁদ ঘটকের নাম আপনারা শুনে থাকবেন।
তা বাবু রূপচাঁদ আপনার ডিক্সনারীতে কোন নেইভ শব্দেএ তালমিল না পেয়ে ঘেঁটে  ঘ হয়ে
অকম্মা মামু দম না পেয়ে ভেরেন্ডার ছায়ায় গুল্গুলি পোকাদের ফচকেমিতে বুঁদ।

এক রিক্সাওলা বলল বাবু আপনি মিথিলা নগরে যান।
এক অকেজো সহিস বলল ঘ্যামবাবু আপনি মুগ্ধ অমাবশ্যার চান্দ্র তিথিতে রায়গড় দূর্গের নির্বাক
গনৎকারকে টুইট করুন।
চাঁদবতীর বশংবদ ঘোড়ার কংকাল গাছে য়ে ফুল ফোটে তার ভাষ্যের একমাত্র পাঠক সেই গনক।
হয়তো দেখবেন নেইভ নামে  কোন ভাষ পাখি
তার ডিমে তা দিয়ে কূট গহ্বর থেকে উঠে আসবেন দিগন্তে।
আমিও লাল আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।

কখন নেইভ আসবেন অরন্যে মৃদু সংগমে।