মোহাম্মদ আনওয়ারুল কবীর
রিপুকরা সময়ে
বাতিঘরে জ্বলে উঠেছে ভয়াল সংকেত
ঈশ্বরের ঘরে আগুন!
প্রেমপাথরে ফিনকি দিয়ে ঝরছে নোনাজল
শাস্ত্র ফুঁড়ে নেমে আসা ঋষিরা করছে যজ্ঞ
কোথায় মহেশ্বর!
থেমে নেই কিছুই
ফুলের পরাগায়ন, গাঙশালিকের বসন্তবাসর
বাড়ন্ত ভ্রুনের নিভৃত সঞ্চালন
প্রেমিকার চোখে প্রেমিকের মরণ আর
যুগল স্বপ্নের ঘাসফড়িং খেলা।
রিপুকরা সময়েই ফলাবো মুক্তা
মেয়ে তুমি দিয়ে যাও তোমার ছোঁয়া।
মায়ের মুখ
ঈশ্বরের মুখ দেখিনি কখনো
দেখেছি তোমার মুখ
মঙ্গল আলো দিয়েছো ছড়িয়ে
আজন্ম বসে আছি জন্মক্ষণ বিভায়।
নাড়িকাটা বিভক্তির নিবিড় টান
আমার শেকড় তুমি -
শেকড়েরও থেকে যায় চুম্বকমায়া।
জন্মস্মারক নাভি সাক্ষী
লগ্নশেষেও ইনশাল্লাহ্ আসবে ভেসে
মা, তোমারই মুখ।
হাজারো প্রশ্নে
হেঁয়ালী থেকেই যাবে শেষতক।
বেলাশেষে ডুবদেওয়া সূর্য বলে গেলো কানেকানে-
কী করে বুঝবে তুমি অ আ ক খ;
শুরুটা যে বড়ই গোলমেলে -
বিভ্রমে কত কি যে দেখা
বিগব্যাং, সময়ের ভ্রণ, অঙ্কুরোদগম, বিবর্তন, কত জারিজুরি!
খিঁচুড়ি পাকানো পরম -
হাজারো প্রশ্নে আটকে থাকে সঙ্গমের বাহাদুরী।