কোজাগরী
এসো....
এসো, আর একবার হাঁটি
রবীন্দ্র
সেতুর উপর দিয়ে।
ময়দানের ঘাস ছুঁয়ে নগরের মহান রাত্রিকে
চুমুক দিই লিবিয়ার জঙ্গলের মতো...
পুরোনো দিন থেকে উঠে আসে
ভাঁজ করে রাখা প্রতিবিম্বের দীর্ঘশ্বাস
কালজয়ী চেতনার অপরিমেয় ছটা...
তারপর-
মহাজাগতিক শূন্যের অপার অন্ধকার,
মাইলের পর মাইল জুড়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত বৃষ্টি
কোজাগরী হাওয়া....
সঙ্গম -সঙ্গীত...
কবিতারা হরতালে গেলে
নগরের সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা হেঁটে যাই।
অভিধান থেকে খুঁজে নিই শব্দহীন গন্তব্য।
শাল কাঠের জানলা থেকে ঘষা কাচের স্লাইডিং।
অনেকটা হাঁটতে থাকি..
ভেসে আসে বৃষ্টির সঙ্গম সঙ্গীত
রাত্রি রাত্রি মৃত্যু নামে।
সব রঙ চেনা হয় না বলেই -
একাকিত্বের হিম বাগানে জীবনের অন্ত্যমিল
ট্রামকার্ডে যাযাবর নক্ষত্র, জলছাপ।
কবিতারা মাঝে মধ্যে হরতালে গেলে
জীবনের নুড়ি ভেঙে সাড়ে তিন দিন, সাড়ে পনেরো আনা.. ...
তবুও তোমার উপস্থিতি
রুক্ষতাও ভালোবাসা জাগাতে পারে
কোনও একদিন !
ঘুমপরীর হাতে সোনার কাঠি ।
রাত্রি মানব কথা বলে মধ্য রাতে...
মহানন্দার জল অভিমান ছুঁয়ে যায়
নীল নির্জন মোহনায়......
হারানো উজানে ফিরে আসে অনুভুতির ঢেউ
অহরহ কাল যমুনায় ।
তুমি ঘুমিয়ে অচেতনতায়
গন্ধরাজ লেবুর সুগন্ধের মতো
তবুও তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি...