বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

প্রণব বসুরায়


প্রণব বসুরায়

জায়মান

অনিবার্য কারণ হেতু সময় সরেছে, ভোর হয় হয়...
আমি ফিরে আসছি মাটি ও বায়ুর কাছে, তৃপ্ত আত্মার কাছে
দশমী-সজ্জায়


আমার পালঙ্ক বিক্রি হয়ে গেছে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের দোকানে
পোশাক নিয়েছে কাঙালিনী কেউ, ক্ষোভ নেই তাতে
অচঞ্চল মৌমাছি, পূর্ণ মৌচাক পাতার আড়ালে
ফোঁটা ফোঁটা দুধ জমছে সব ধান্যবীজে...
আমার সারথি হয়ে হেমন্ত নামছে সব্জিবাগানে
তোমাদের ছাদ-ঘরে, ইস্কুলের ঘন্টাঘরে


আমি আসছি
জায়মান সম্পর্কের কথা মনে আছে খুব







একই ধূলি

বিকল্প কথার বিন্যাসে জড়িয়ে যাচ্ছে সময়ের কুচি
আমাদের ঝুলি পূর্ণ হয় নি
তাও ফিরে যেতে হবে আসন্ন রাত্রির যামে
হেমন্তের রাতে একা যেতে শীত শীত করে...


এর আগে রোদ ছিল, উষ্ণতা
ছিল ডিমের কুসুনের মতো
ভুল করলে শ্লেট মোছার ভিজে কাপড়ও...
দুই বেণী তুমি গেছো ইস্কুলের পথে


মাঝে মাঝে আসে রং, তখন কিছুটা সন্ত্রস্ত
কথা যেন মাটির সাথেই
তখন কুসুম ছুঁয়ে কেন কেউ দহন শেখাবে?


তোমার ধর্ম, বাস, প্রথা-- কিছুই জানি না
যাত্রায় সঙ্গী তুমি,
একই ধূলি, দুজনের অঙ্গ মেখেছে


নদী জল বহে যায়
চলো, তবে স্নান সেরে আসি







কালো কবিতা (১)

বিষণ্ণ রাত্রির কাছে হারি বারবার
আমাকে সে খুবলে নিয়ে যায় শতদ্রুর কাছে
ঘোরের মধ্যে উষ্ণীষ খুলে গিয়ে সাপের বহুরূপী...
কয়েক হাজার কীট ও পতঙ্গ আমাকে ধরে ফ্যালে
ও টানতে টানতে নিয়ে যায় ভীষণ-দর্শনার কাছে।
প্রতিটি কর্মের জন্যে সে আমাকে শাস্তি দ্যায়, কারণ
তার কাছে কোনো পুরস্কারের ঝুলি থাকে না কখনও
তার উদ্যান কবর ও চিতার জন্যে চিহ্নিত করা আছে


ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যেও আমাকে যেতেই হচ্ছে—এ রাত এমন
আমার পাগলা হাওয়া, নারী ও সাংসদ—তোমরা ভালো থেকো