মন্দিরা ঘোষ
আমাদের সিন্থেটিক স্নায়ুঘর
স্বয়ংক্রিয় খেলায় পটু হয়ে
উঠছে আগামীর চোখ
হাতে হাতে দূর আঁকা স্মার্টওয়াচ
ফাঁকা উঠোনে সাদা কালো ব্ল্যাকবোর্ড
পুরোনো পুঁথির অন্ধকারে
ভয়ানক হয়ে ওঠে দিনের
প্রিজম
আজকাল নীলগাছের গল্পে
কুঠিবাড়ি এসে পথ
কাটে না
মাঝে মাঝে স্বপ্নের মত উড়ে আসে
ভোরের গন্ধ সুজলাং সুফলাং সুর
সুতো কাটা চরকাঘরে চুপ করা আঁধার
মোটা খাদির কাপড়ে
পিতামহের অহিংসার রুমাল
চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা সাদা ধুতি
হাতে শিকারি গাদাবন্দুক
আজও আভিজাত্যের গন্ধ নিয়ে
এলোমেলো করে
আমাদের সিন্থেটিক স্নায়ুঘর
দ্বিধা
কোন দ্বিধা না রেখেই
তো
পৌঁছোনো যায় ঠিকানামুগ্ধতায়
যতই মেলা থাক কুয়াশা আঁকা শাড়ি
ঠোঁট হীন ঠোঁটের উৎপাত মাখে
ভূমধ্যসাগরীয় উড়োজাহাজ
হার্টবিটের বারবৃদ্ধি থামবে না
যতক্ষণ না ছুঁড়ে ফেলছ তোমার বিশ্বস্ত
আগুনের ফুলকি
চুড়ান্ত উন্মোচনের আগে
আমি ব্যতিরেকে আর একটা পাহাড়ের নাম
কী করে যেন তুমি ভুলতে চাও না আর
জানালা ভেসে যায়
এত যে কালো মেঘ
জানালা ভেসে যায়
অচেনা অবয়বে
তোমাকে চেনা যায়
অদূরে ছলাৎ জল
নদীতে ডুবসাঁতার
তুমি কি খুব কাছে
অতলে আমি যাই
তবুও মেঘ আসে
জানালা ভেসে যায়
ভাল যা সব তাতে
তোমাকে ছুঁতে চাই
আমি যে ভুলভাল
সততা বাসি ঘর
বাতাসে কানাকানি
গোপনে কি যে হয়
পৃথিবী ভুল জানে
আমিও ভুল জানি
যে ছায়া আজ ছিল
সে ছায়া তুমি কাল