বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

সর্পিণী

এমন কিছু একটা করা যাবে ?--
যাতে তুমি আমার দিকে না তাকিয়ে পারবে না
কোন এক চমৎকারী মন্ত্রপূত বশীভূত সাপের মত ?
অবশ্য ফণা নত হয়ে গেলে
তাকে আর সর্পিণী বলে মনে হবে না






একটা

জীবনের মাঝে কোন একটা  স্থান ধরা থাকে--
পাটিগণিতের অঙ্ক বীজের মত
তাকে, এক, ধরে চলতে হয়
আমাদের দুঃখগুলি সব মিলে একাধিক হতে চায় !
সমীকরণের সিঁড়ি ভেঙে তুমি
তাকে শূন্যে নামিয়ে আনতে চাও
বড় জেদি দুঃখগুলি তোমায় মিশে যেতে চায়--
তুমি যেটুকু স্থান ঘিরে থাকো--
একের বাকী অংশে আমি বিরাজিত হই
ভালবাসার ভগ্নাংশ নিয়ে তুমি আমি জুড়ে থাকি, 
একের পূর্ণতা তো হতেই পারে
জীবন শেষে শূন্যতা কুড়িয়ে নিয়ে যেতে চাই না--
আবার না হয় একটিবার, ‘ভালোবাসি বলো !



মানব

যদি মুখচ্ছবি নেই, তবে শুধু মানুষের আদল পড়ে  থাকে
নাম পরিচয় তো বলে দেয় মানুষের মুখাকৃতি
পুরুষ কিংবা নারীতে দেহ বিভাজিত হতে পারে
দৈহিক আকৃতির কাঠামোয় যে সব ভাঁজ পড়ে
তাতে চিহ্নিত হতে পারে সে নর অথবা নারী ছিল    





সমর্পণ 

একদিন সময়ের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতেই হয়
বেড়ে ওঠার ক্রমগুলি বয়সের ধারায় 
কখন যে  পার হয়ে যায় শিশুকাল,
কৈশোর ও যৌবনের ব্যবধানের উচ্ছ্বাগুলি
সময়কে পেছনে ফেলে ছুটে যাই। 
সে ছুটে যাওয়া টের পাই না। 
কখনও বুঝি এগিয়ে যাই-- 
বাতাস ও ধাবমান সময়ের গতিবেগ ছাড়িয়ে। 
এবার মধ্যজীবন--বাড়বাড়ন্ত শরীর  ও মানসিক স্থবিরতা।
এবার বাতাসের গতিবেগ টের পাই--
চলমান সময়ের গতিবেগ ধরা পড়ে মন ও  শরীরের সান্নিধ্য 
তারপর নিজেকে আলগা করে দিই-- 
নিজেকে পালের হাওয়ায় দিকে ছেড়ে দিই--
চেয়ে থাকি সমুখ পানে--ভাবি যে পারেই নিয়ে যাও প্রভু,
আমি তো তোমাতেই সমর্পিত হয়েছি।