লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
কুয়াশাকাল
আকাশের রাতের দিকে তাকাই, অন্ধকার
থেকে চুঁইয়ে আসে জল; কনা কনা রক্তের
মুহূর্ত থেকে সুখ দুঃখের অতীত - তারা হয়ে
ফুটছে পলিমাটির মতো, সেই উর্বরতাটুকু
বুঝতেই পুনর্জন্মেরর কাছে হাত পাতি পথে
ধুসর দিগন্তরেখা জুড়ে কালোস্রোত -
আমার পায়েচলা পথে অনাবিল বাতাস
কে নেবে এই প্রাণের নিঃশ্বাস?
কার যেন আঁচল উড়তে উড়তে মিশে যায় শঙ্খচিলে
রাতের কুয়াশা জড়িয়ে আসে বুকে -
শীতবোধের পাতাগুলি জ্যোৎস্না ঝাড়তে থাকে; অবিরত
ক্ষমাহীন
জানালার কাছে ঝিঁঝিঁ ডেকে উঠলে রাত হাঁটতে শুরু করে
একটা বিপন্ন পথে ঘুরপাক খায় কালো কালো পতঙ্গ
শব্দহীন পবিত্র জ্যৈষ্ঠের কাছে কেঁদে ওঠে ফাটাফাটা ত্বক
আমি ভিটের ধারে সেই ঝরা বাঁশপাতার কথা ভাবছিলাম -
বাতাসের শীতল ছাপ চোখে মুখে লাগলেও সেই স্পর্শে কোন মেঘ নেই
একটা ওষুধ দোকানের দরজা তখনও খোলা থাকে এলইডি বাল্বে
কেউ কেউ হেঁটে যায় লাঙ্গলের মতো ধারালো জীবন সাথে নিয়ে
কারা হাঁটে
চিনতে পারি না তাদের
-
আলতা দাগের পৃষ্ঠাগুলি
মেঘের নিচে আয়ু আর মৃত্যুর আলতা দাগ;
শুকনো পাতার উপর লাল পিঁপড়েগুলো উজ্জ্বল,
শিরীষের ফাঁক দিয়ে
ফিসফিসে সে আলো বিষাদ
পাতায় লেখে সন্ন্যাস
-
ক্রমশ ঘোমটা থেকে উন্নত বুকের উপর আড়াআড়ি জোড়হাত
পিঁপিঁ ডাকছে এই প্রহরেও
অবাধ্য সব বাঁশঝাড়ের কোলাহল থেকে জেগে উঠছে শনশন শব্দ
কাছের এই সাধারণ কষ্টের উপর পাখি এসে বসে -
স্রোতের গোপনে উদাসী শব্দের ঘ্রাণময় জীবন আর সুন্দরের ঘরদোর -
বেজে ওঠে সানাই
- আজ ঠিক দেবীর বোধন -