শারমিন
সুলতানা রীনা
একটাই মানচিত্র
তাজ মহল
দেখার সাধ ছিলনা কোন কালেই
হাহাকার ভরা
অভিষাপ মনে হয়েছে চিরকাল।
শোভিত আলোর
ঝলকানির আড়ালে
যে কান্নার
প্রতিধ্বনি কে রাখে তার খোঁজ?
ইতিহাস হতে
চাইনি তাই
গহিণ অরণ্যের
এক কোণে
নির্জনতায়
খুঁজেছি সুখ।
তুমি কেন তাল
লয় ছন্দে দেখালে প্রভাত?
বুকের পাজরে
অদম্য তৃষ্ণা নিয়ে
জলের প্রপাত
ছেড়ে যে নিজেকে পোড়াতে
সারিবদ্ধ
কাঠে সাজিয়েছিলো চিতা
তাকে আর কতটা
পোড়াবে তুমি?
লোকে যাকে
প্রেম বলে আমি তাকে
যন্ত্রণার
লেলিহান শিখায় পুষি।
শরীর হত্যার
দায়ে বিচারের কাঠগড়ায়
দাড়াতে হয়
আসামীর,
অথচ হৃদয়
হত্যার বিচার করতে
আজো জন্ম
হয়নি কোন বিচারকের।
রোদেলা
কারুকাজ নয়,
ঝড়ের তান্ডবে
ভেঙে দিতে
পারি ভয়ংকর সুন্দরের সকল উপমা।
যাকে পোড়াতে
চাও,
নিতে চাও প্রেমের পরীক্ষা,
সে রক্ত
মাংসহীন এক জীবন্ত ফসিল।
আগ্নেয়গিরির
উত্তপ্ত লাভা থেকে উত্থান।
তবু আকাশ আর
মাটির স্বপ্নে বিভোর হয়ে
এসেছে
তোমাদের বর্ণিল পৃথিবীতে।
যদি মানুষ হও
বিনাস করো ভীরুতা
ঝরনার মতো
বইয়ে দিতে বিস্তৃত পাহাড় হও।
ভেঙে ফেলো
সীমাবদ্ধতার কাঁটাতার।
বুকের
দিগন্তে উঠাও পূর্ণিমার চাঁদ।
আত্মহনন নয়, নয় রক্তপাত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
নিবিড় শ্রোতের
প্রবালে জন্ম হোক
আরেকটি
দারুচিনি দ্বীপ
প্রসন্ন
ভবিষ্যাতের উজ্জল ফুল ফোঁটাতে।
একবার জেনে
যাও দেশ বলে কিছু নেই
পুরো
বিশ্বটাই একটা মানচিত্রে বাঁধা।।
পান্ডুলিপি
সন্ধ্যা
ঘনিয়ে এসেছে
রোদের সবটুকু
রেনু নিয়ে
সূর্য ফিরে যাচ্ছে তার নিজস্ব ঠিকানায়।
আমাকেও ফিরতে
হবে
গোপন
করাঘাতে...
করতলে
শুন্যতা বয়ে।
ক্লান্ত দু'চোখ,
তবু হৃদয় সচল
অবিরাম রক্ত
ক্ষরণে।
পরাজিত
প্রেমে ললাটে
যেটুকু
বেদনার সুখ লুটেছি...
তার ই আত্মবিনাষের
বিনিময়ে রেখে
গেলাম
দীর্ঘশ্বাসের
পান্ডুলিপি।।
তোমার মুখ
হৃদয়টা চিতায়
পোড়ে
সুবাসিত
চন্দন কাঠে নয়
সরাসরি
ইলেকট্রিক মেশিনে।
অতঃপর
অবশিষ্ট ছাইয়ে
একটা বৃত্ত
তৈরী হয়,
দেখি তোমর
মুখ।
দহন
পাখির পালকের
মতো
সামান্য
স্নেহের কাছে নতজানু,
বুকে আগুন
পুষে তবু
ইরি ধানের
সেঁচ হই।
একটু
নির্জনতায় বয়ে দিতে
জলের প্রপাত
পাথর
হৃদয় থেকে ঝরে যায় জল।
নিলেনা
পুষ্পিত ঘ্রাণ।
তবে কি আমি
ভুলকে ফুল ভেবে
দহনে দহনে
ধারণ করেছি
গভীর বেদনা??
প্রবঞ্চনা
আজীবন শুধু
নিজের সাথেই করেছি প্রবঞ্চনা
হেঁটেছি পথ
থেকে পথে
নিঃসীম
অন্ধকার বয়ে।
জোনাকীর
মিটিমিটি আলোয়
খুঁজেছি
দিনের সন্ধান।
অথচ বুঝেই
ভুলের সাথে গড়েছি সখ্যতা।
হাসনা হেনার
ঘ্রাণে বুদ হয়ে জেনেছি
ভোর হবার
আগেই তার
ঝরে পরার
করুণ বেদনা।
সোনালী আলোর
হাতছানিতে
শখের পায়রা
যখন ডেকে ওঠে
সে ডাক
মর্মমূলে পৌঁছানোর আগেই
সমর্পিত হই
নিজের তৈরি করা
অন্ধকারের
অতল গভীরে।।।
ভুল
বিলাসী
বেদনার বৃষ্টি বয়ে
ভেজাও চোখের
উঠোন..
বৈশাখী আকাশ
বলে যাকে
অপবাদ দাও,
অথচ, তার নিজস্ব কোন
আকাশ নেই।।
তোমার মুখ
হৃদয়টা চিতায়
পোড়ে
সুবাসিত
চন্দন কাঠে নয়
সরাসরি
ইলেকট্রিক মেশিনে।
অতঃপর
অবশিষ্ট ছাইয়ে
একটা বৃত্ত
তৈরী হয়,
দেখি তোমারই
মুখ।