সৌমিত্র
চক্রবর্ত্তী
সুচেতনা
বেলুন ছুঁড়েছ
প্রেমে অপ্রেমে
প্রেম কি
বুঝেছ ছককাটা গেম এ
তোমার
ভালো-বাসার নাটকে
মনুষ্যত্ব
ডোবে ড্রেনে নেমে।
ঝুলে নেমে
গেছে মুখের চামড়া
একখান চোখ
শুকনো আমড়া
পোড়া সময়
গলায় শরীরে
উল্লাস কর
প্রেমিক দামড়া!
বলিউড দেখো
টলিউড দেখো
বাংলা বিলিতি
সন্ধ্যেয় চাখো
পকেটে পুষেছ
মারণ অ্যাসিড
নরক গন্ধ
তুমি গায়ে মাখো।
আজ যাকে বলো,"তুম মেরে জান"
তাকেই করাও
মৃত্যুর স্নান
তোমার ও
প্রেম খুনি কালো নেশা
ভালোবাসা নয়
শয়তানি দান।
ভালো যে
বেসেছে সে তো ভালো চায়
প্রেম নয় তার
দিনের কামাই
যদি চলে যায় ভালোবাসাজন
সত্যি
প্রেমিক ভালো চেয়ে যায়।
হুইল চেয়ারে
বসেছে যে জন
সালফিউরিক
নাইট্রিক মন
রোমিও গিফট এ
জড়ভরত
তোমার লজ্জা
সে আমার বোন।
বাতিল স্বপ্ন
একসময় নতুন
ক্যালেন্ডারও
বাতিলবাস্কেটে
বাবুলকে দুয়াঁয়ে লেতি যা...
যখনতখন ঘুম
আসে ইচ্ছের উজানে
চোখে রাত্রি
বারোটার শাটার।
দেখতে দেখতেই
কুকুরের একঘেয়ে
চিৎকার ছেয়ে
ফেলে মশার গুনগুন।
ক্লান্ত
সহবাস থমকে গেলে
সবুজ
ক্লোরোফিল কালো হয়।
মনের খোঁজে
বলেছিলে মনকে
বোঝাও।
এ কদিন, আঁতিপাঁতি ছানবিন।
ডাইরিতে
কবিতার প্রত্যেক অক্ষর -
সপ্তদশী
দিদিমার ফুলেল তোরঙ্গ -
ব্যাঙ্কভল্টের
গোপন কোণ -
বোগেনভেলিয়ার
গোড়ায় কোপানো মাটি -
পরিত্যক্ত
অফিস ফাইল -
বিছানার নিচে
কাগজের স্তুপ -
আলমারীর
রহস্যময় ইশারার খাঁজ -
বারবিকিউয়ে
জ্বলন্ত হৃদয় -
হাত পুড়ে
গেছে শুধু
মন
খুঁজে পাইনি কোথাও!
ও তো সেদিন
জলতরঙ্গ বিকেলে
ফেলে এসেছি তোমার
চিলতে বাসায় -
যা খুশি
তুমিই বোঝাও!
মঞ্চনাটক
দ্রোহদীঘির
পার বেয়ে
চলে সরীসৃপ
অবয়ব,
একটানা
রিমঝিম
সূর্য আলোয়
তিরিতিরি
মায়ায়
কাঁপে ভাসে
সম্পর্কসকল...
সব মিথ ভেঙে
ভেঙে
তৈরী হয়
প্রত্যাশার
ফালি-
বিদ্রুপের
মতো ঝোলে
বাঁচো এবং
বাঁচতে দাও ব্যানার ।
আলো
নেভাও-আলো নেভাও
মঞ্চে এখন
রাজার প্রবেশ...
দু দন্ডের
ঝুল
কালিতে মুছে
যায়,
সব
পাপ-গ্লানি-মেরুদন্ডহীনতা
সরে যাও সরে
যাও-
দ্রোহদীঘির
পাড় ভেঙে
নেমে আসে
রাজার মুখোশ ।
জাহান্নামে যাক
পরিযায়ী অভিমান
জানলা খোলাতে
চাও
এ ভুতদুপুরে!
পারবে না।
চার্দিকে হাজার আঙুল
রে রে করে
উঠলেই
বংশগত
অবিশ্বাস তাড়া করে সামনেই
চোরাবালি অতল
নিখাদ।
তুচ্ছ অভিমান
উড়ে যায়
শুষ্ক মরুঝড়ে,
বলগা হরিণ
মরুভূমির বালিতে
হুমড়ি খেলেই
অট্টহাস,
ক্যারাভ্যান
নিখোঁজ হয়
সময়ের তিক্ত
খাঁজে;
বিষদ্রংষ্ট
অবেলার রোদ্দুর।
ভালবাসা আমার ভালবাসা
অজান্তেই কখন
ভালবেসে ফেলি-
ভালবেসে যাই
মাটির স্তন,
হানাদার
রোদ্দুর,
পানপাত্রে তুফান।
ভালবেসে ফেলি
একান্তের মিস্টি গন্ধ...
তাফালের
শিখাতেও মিস্টি ছোঁয়া!
সেই কোন
শিশুকালেই
একে একে
করেছি বিসর্জন
যজ্ঞপবীতে
মোড়া ব্রাহ্মণ্য অহংকার
জাত, ধর্ম, বর্ণঅভিমান।
স্বভাবশামুক
মাণবক মন
আর
শঙ্কুবিদ্ধ অনুভব সঙ্গিনী আমার,
পায়ে পায়ে
হেঁটে যাই ভালবাসা মুখে
নাচিৎকৃত বোধ
জোড়া দিনমান।
ভালবাসা আমার
অঘ্রাণের ধান-
সদ্য দোয়ানো
দুধের সুবাস-
একান্ত শরীরে
নিশ্চিন্ত আশ্রয়-
ভালবাসা আমার
মাতঙ্গ মিছিলে
পঙ্গু
মানুষের সারিসারি মুখ।