রমেশ
পালিত
অক্ষরে অমৃত
অক্ষরে অমৃত
আমার
অক্ষরেই যাপন
শব্দপুত্র
সনাতন আমি
যাকিছু
নিন্দা-প্রশংসা
একই পাল্লায়
মাপন।
মানুষের
মৃত্যু যতটা না ভাবায়
মনুষত্বের
মরণ বড় কাঁদায়
শব্দে আজীবন
সহবাস
যতটুকু সঞ্চয়
রেখে যাব অক্ষরে
হৃদয়ের
মৃত্তিকায় শব্দের চাষ।
এরাই আমাকে জানে
ঝিল আর
ঝাউশাখা মাঝে
দিন মাস বছর
পেরিয়ে
খুঁজি আমি
জীবনের মানে
রাখালের
বাঁশি ঝিঁঝির ডাক
এরা সব আমায়
জানে।
মানবতার ঝাণ্ডা
ডাস্টবিন
খুঁটে খায়
ফুটপাথ মুড়ি
দিয়ে
ঠাণ্ডাকে
মারে ডাণ্ডা
একমুঠো অন্ন
লাগি
হাতে হাতে
ঘোরে হাত
ওড়ে তবু
দাম্ভিক ঝাণ্ডা!
শত আঘাতেও
কবিতার মতো
পৃথিবী কামনা করেছি আমি
করে যাব
চিরটা কাল
ভালবাসার
জোয়ারে ভাসাব এ বিশ্ব
দুঃসময়ে ধরব
ধরণীর হাল।
লাঞ্ছিত আর
বঞ্চিতদের পরম মমতায়
তুলে নেব
বুকে
শত আঘাতেও রাখব
সুখে।
নাড়ির টান
সেই কবে
একদিন কুয়াশার মতো মনে পড়ে
চেতনার
চিলেকোঠা জাগেনি তখনও
অক্ষরধামে কে
যেন নিয়ে গেল আমায়...
সেই থেকে
সর্বনাশের শুরু
হৃদয়ের
সুগভীর প্রদেশে বোধের জাগরণ
আজ সময়ের
শ্বাসাঘাতে দেখি আমি দুরূহ. সংকেত...
মানুষের
মৃত্যু কষ্ট দেয় না তত যত মনুষ্যত্বের মরণ
পৃথিবীর কোণে
কোণে পড়ে আছে কত অসহায় প্রাণ
এদের সকলের
সাথে আমার যে নাড়ির টান!