শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

জয়া চৌধুরী


জয়া চৌধুরী

উচিত

প্রথমে ব্যঙ্গ করো তারপর
বাঁ হাতে খৈনি ডলে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দাও আমার অহং
তোমার যা পছন্দ হয় নি তাকে অপরাধ বলে দাগানো জায়েজ
কোনো উত্তরেই ভবি ভুলবে না জানা আছে
যেভাবে তুমি ভাবো জগতের কল্যাণ করা যাবে
ওটাই একমাত্র পথ বাকীসব চালাকী ধান্দাবাজী বা ন্যাকাষষ্ঠী
থাপ্পড় মেরে মুন্ডু ঘুরিয়ে দাও কেননা তোমার মতবাদী নয় যারা
তাদের প্রত্যেকের এটাই প্রাপ্য। কেউ যদি এর বিহিত না করে
তুমিই মারো চটি লাথি ও ডান্ডি

আমাকে






তারপর মিতারা

থরথর করে কাঁপছিল মেয়েটির বেয়াড়া উরুদুটি
ভারী নাহলেও কামনায় কম পড়ে নি যা দেখে কখনো
পিছলে পড়া হরিণা নিম্ননাভি থেকে চোখ ঊর্ধ্বে সরাতেই একঢাল
কাল চুল ছড়ানো বিছানায়
পুজোর সিজন সদ্য শেষ হয়েছে তাই
লাল রঙে কালার করা চুল নাকের তলায় লালে লাল রাঙানো ব্লাশার
সাজতে ভালবাসা কিছু অন্যায় নয় যদি না বুকের ওঠাপড়া
হঠাত থেমে যায় অবাঞ্ছিত
জোড়া লোভ দেখে হাত বাড়ালে ফাউ হিসাবে মেয়েটির শরীর মন
আত্মার চেয়েও বেশি কিছু অর্থ কিংবা সব সব সমস্ত কিছু...
তারপর মেয়েটি ডোমেস্টিক অ্যানিম্যাল থেকে
ভায়োলেন্স হয়ে যায় চোখের ওপর অগোচরে






আমিই সেই

এই গাছ আগেও পাতা খসিয়েছে পুষ্প পত্রে সেজেছে
এই নদী আগেও কূল ভেঙেছে নগর গড়েছে
এই ছেলে আগেও হেসেছে মেয়েকে ভালোবেসেছে
এই চোখ আগেও জল ফেলেছে ছবি এঁকেছে
এই মন আগেও ব্যাথা পেয়েছে ব্যাথা দিয়েছে
এই ধরা আগেও দূরে ঠেলেছে কাছে টেনেছে
ভালবাসা ভালবাসা ভালবাসা শোনো একবার
আমি না থাকলেও মা আকাশ পাখি কবিতা
সব থাকবে সব বইবে সব হাসবে
আমি মন না
আমি বুদ্ধি না
আমি অহং না
আমি চিত্ত না
আমি ই সেই ভালবাসা।






তু  মি আ 

এখানে ছড়িয়ে আছে তুমিটি
সদর গলি খালের ধারে গাছগাছালির ফাঁকে
জলাশয়ে শুকনো পতত্রীর ওপরো কফির কাপে
ডিটিডিসির আপিসে তরকারির ঝুড়িতে নিরামিষ পাঁঠার মাংসে
কালিমন্দিরের সন্ধ্যারতিতে কবিতার পেজের বুকমার্কে
ছেলের নবীন টি শার্টে নোনা জলের শুকনো দাগ বসা
বালিশের ওয়াড়ে জৌনপুরীর আলাপে পাথরকুচি ফুলের টবে
ক্লিভেজের আদর চিহ্নে তুমি তুমি আমি তুমি তুমি
আমি তু  মি  আ...
এই....

ক ত দি ন ধ  রে....





সন্দেহফেন

সন্দেহ বিছে কামড়ে ধরে উরুতে,
ঝরতে থাকে দরদর নীল সন্দেহফেন
এফোঁড় ওফোঁড় চুম্বনে স্তম্ভিত হয় আত্মা
মিশ্তে থাকে ঘাড়ের ওপর বিষের কণা
কাল্কেউটের শ্বাসের ঘোরে আটকে গেছে নীলমাছিটা
ইসসসস - বড্ড সুখ জিভের বিষে লেপটে থাকা
জাপটে ধরো, কামড়ে ছাড়াও দাঁতের চাপ
বিষের থলি ফাটলে ফাটুক দম ফটাস-
উথাল পাথাল বিষ সায়রে তূরীয় নাদ
অমৃত বিষে বিষামৃত ব্রহ্মনিনাদ।