তাজিমুর
রহমান
একটা মৃত্যু সংবাদ
মাঝে মাঝে
বন্ধ জানলার দিকে হঠাৎ
দৃষ্টি পড়ে
গেলে একটা মৃত্যু সংবাদ ক্রমে
হয়ে ওঠে
যাযাবর
সীমান্তের
রেখা টপকে তর তর করে
উঠে আসে
মেহগনি আকাশ আর
পুরো একটা
গ্রাম নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে
থাকে অহল্যা
আঙ্গিকে
একটা মৃত্যু
সংবাদ জেগে উঠলে
ডিসেম্বরের
শীত তীক্ষ্ণ ছুরির মত ছোঁয় দিগন্ত
আর ময়দানের
লাজুক ঘাসে ডুবে যাওয়া আলো
একাকি কিশোর
লিখে রাখে কুয়াশার গানে,তখন
সমস্ত রাত
মুদ্রা হয়ে নেচে ওঠে জ্যোৎস্নায়
একটা মৃত্যু
সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তোমার
গোপন তিলে
এখনও তরজমা করি
মফস্বল থেকে
মন্বন্তর
বিষাদ
একটা মৃদু
হাওয়া নড়ে উঠল। আমি তার
ডানায় এঁকে
দিলাম মৃত্যু!
রাত নামল,ছোট ব্যলকনির কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই
ক্ষণপ্রভা
একা চাঁদ ডুবে গেল
হেমন্তের
ভেজা আঁধারে
জেগে উঠলেন
তিনি- ব্রম্ভ! শব্দ!
অচানক ; রহস্য ছুঁয়ে থাকল বৃক্ষের মত নিরবধি
পথের প্রান্তে
স্নিগ্ধ রেখায় লিখে রাখলাম
নির্জনতা আর
সুদর্শনার বিষাদ
চেনা
এসো দূরত্ব
কামাই। হেঁটে যাই পড়শি পথে
ভেতরে জন্ম
নিক সমুদ্রপুর
বৃক্ষঘাতক
শুধু চিনুক কাকে বলে অমরত্ব!
দাগ
পেন্সিল
স্কেচে ধরা আছে যে অবয়ব
তার ভেতরে
অসংখ্য দাগ,ডোরা
দাগ ঘিরে
জ্বলন্ত ধূপ আর প্রিয় ফুল
সময়ের ধার
টরিসেলির সূত্রে নিপূণ
এপিটাফ
দিগন্তে
শূন্য মাত্রাহীন হলে তুমি সংখ্যা
রাখো তার
পাশে
জলজ বোধে
পড়ে নেব রাতের শীর্ষ গান
মাঠের ভেজা
ডানায় এসে নামুক রূপকথা
আজও
জ্যোৎস্না কামড়ে থাকা কিশোরীর ঠোঁটে
জেগে ওঠে বাংলার
লোকায়ত গ্রাম।আর
সোনাগাছির
আকাশ জুড়ে বর্ণমালার শীৎকার
এসো টলটলে
জলরেখায় সাজিয়ে রাখি
নিঃসঙ্গ
কুয়াশা
ডাক পড়লেই
শমিত তরঙ্গে ডুব দিয়ে পাড়ি
দেবো মেঘেদের
দেশে;মেঘ যদি নৌকো হয়
কুয়াশায়
এঁকে দেবো গোধূলির বিবর্ণ এপিটাফ