সৌরভ
মজুমদার
সম্বিৎ
‘সম্পর্কটার
অসুখ করেছে’
সম্পর্কগুলোর
সব অসুখ করছে...
নন
কম্যুনিকেবল ডিজিজ । আর তুমি
সেদিকে
একবারও না দেখে
যতসব
বইপত্র,এটাসেটা হাঁড়িপাতিল ডটকম
চট-জলদি
মেডইজি চেষ্টাচরিত্র
জুতো সেলাই ক’রেক’রেসময় চরিয়ে
কথাওয়ালা
লিখে ফেলছ
দুয়েকটা গান
এবার পেতে
দাও শরীর,
আভূমি
আদরে আনও বাণ
‘কিসিকে পাস
টাইম ত জ্যাদা হ্যায় নেহি’
…
শিরোনামহীন ০১
গেট পর্যন্তই
অভিজ্ঞতা । তার ওপারে যাওয়া বারণ...
ওদিকের আড়ষ্ট
জ্যোৎস্না এদিকের আতশ কাচে অধরা
দেখে, গ্রিল ছুঁয়েছুঁয়ে পাথর-কপালি প্রজাপতিরা রঙ বেরঙের
নাম নেয়, এনা আফরিন শর্মিষ্ঠা ফরিদা শিপ্রা শ্যামা মুকুলিকা -
আরও কত । এরা
কখনও পাখি হয়,
কখনও মাছ, কখনও আকাশ
বা সমুদ্র ।
এমনকি নটিলাসও...
আমি এদের গাছ
হতে দেখিনি কক্ষনও !
শিরোনামহীন ০২
বাতাসে ডানা
মেলে নেমে এলে চাকারা
ঘন নীল
রাজ্যহারা চিলের মতো,
সময় শিকার
উল্লাস দৌড়
শাদা-কালো অবকাশ দাপানো
খোয়াব খেলার
উজানে,
অন্ত্যমিলসরিয়ে সরিয়ে
আকাশের ঘরে
মা-মেঘে মাতোয়ারা বৃষ্টিরা
একে একে ফিরে
গেলে,
দলছুট বিস্ময় পেরিয়ে
ক্রিমসন গল্প
লেখে অভয় ফকিরা
চাকা গড়িয়ে
যায় - শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ফ্রেমে
ধরা দেয়
এলোকেশ, দু’কানে মুক্তোর দানা
বেখেয়ালে
কিছু শাদা এঁকে নেয় কুসুম শরীরে
সাঁঝরঙে নিভু
নিভু রোদে এক ছলাৎ সন্ধ্যায়
আটপৌরে শহর
রাস্তায়,
অরোরা বরিয়ালিস
চতুষ্কোণ
বৃত্তে আড় ভাঙ্গে - আফোটা হাসনুহানা
শিরোনামহীন ০৩
দেখছিলাম
নিঃশব্দে - আরোহ অবরোহ,
অপমানের
পাহাড়ের
রাগের
প্রতিদিনে
বেঁচেবর্তে থাকার
আলাপ বিস্তার, অদৃশ্য স্বরলিপি মেনে
মাইনর মেজর, শুদ্ধ কোমলে
কিই বা আর
পারি !
শেষ ক’রে শুরুতে ফিরে যাই
দেখার -
ভেতরে তাকাই
এক অপমান
থেকে পা রাখি অন্যে
আবারো
কবিতায়...
শিরোনামহীন ০৪
একদিন
গিয়েছিলাম মহা মানুষের কাছে । মানুষ
যেমন যায়
বিশেষ মানুষে,
তেমন নয় - কৌতূহলে
দেখতে চাওয়া
কেমন থাকেন তিনি আলগা আশেপাশে
দেখা হয়নি ।
দেখা হলনা...
আধখোলা মহতী
দরজার ফাঁক গলে
ভেসে আসে
রবিবারের ঘোষণা
‘এমনি ত দেখা
করেন না তিনি,
এভাবে আসবেন না’
আলগোছ
হাতখোঁপার ঢিলেঢালা সাধারণ যাপন
ছলকে ওঠে, প্রতিশব্দ খুঁজতে চায় - অসাধারণ
এরপর যাওয়া
হয়নি কখনো আর,
অন্যভাবেও
মানুষ দেখা
তবু আজও শেষ হয়না...