সুলেখা
সরকার
চুমু
(১)
তোমাকে পড়তে
পড়তে
সন্ধ্যা
কুড়িয়ে ফেলেছি।
এক অপূর্ব
দূষণে
সন্ধ্যামালতির
ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে ২০১৮।
টিলার ওপর
উঠে বসেছি
সরু সরু
রেখাপথে উপনদী আসছে
রাবা। দ্রাউ।
জল। লালা।
নরম গতিপথ।
অমৃত স্রোত
ছুঁয়ে দিচ্ছে
গালে জমানো
প্রত্নকণা।
শব্দহীন
ধ্বংসাবশেষে শুধুমাত্র
ঠোঁট কথা
বলছে।
(২)
বলিরেখায় ৪০
এখনো
যাতায়াতে
চোখপাতায়
শুয়ে পড়ে চুমু।
লতানো আত্মীয়
গুছিয়ে রাখি পরিণত আলনায়।
ভালোবাসা এক
অন্তর্দৃষ্টি
রূপের ধরন
ভাষাতেই তার
বসবাস।
হৃৎপিণ্ডে
বিসর্জনহীন বিশ্রাম। আশ্রয়।
এই যে
যেটুকু আমায়
দিলে
শূন্য হয়ে
যেতে যেতে সেটুকুই সঞ্চয় করি প্রকৃতিতে।
(৩)
কখনো বিশ্রাম
নিতে নিতে
নেমে আসে
বসন্ত।
সস্তা হয়ে
যায় চাঁদ নাভি।
হর্ষ নেই
শুধুই মগ্নতা।
পাতা ও
পরিশ্রান্ত রশ্মি এক হয়ে যায়।
এক পৃথিবী।
মুখের ওপর
ছড়ানো সূর্য কেন্দ্রীভূত হয়ে আসে
নাক ছুঁয়ে
নিচে
আরও নিচে...
মাটি হয়ে যায়
গর্ভ।
জল পড়লে আয়ু
ফোটে।
(৪)
কিছু বিরল
ব্যাথার হাসি থাকে না।
মরুভূমির
দিকে গেলে অভিমান বেড়ে যায়।
দৃশ্যত নদীতে
ভাসিয়ে দিই সবকটি অসুস্থ চুমু।
চিরকাল
মিলনের আগে ভালোবাসোনি আমায়,
চিরকাল ফসল
ফলাতে জমি মেপে নিয়েছো তীক্ষ্ণ।
আজ আয়োজন নেই,
গাছের ভেতর
বিশুদ্ধ আমি,
এক সতত গাছ হয়ে গেছি।
(৫)
উঁহু
চুমুস্বর নয়
ওটা ঝিঁঝিঁ
ডাক।
মেঘটাও
পাবলিশার্স।
গল্পে গল্পে
মলাট।
ভেঁপু বাজিয়ে
ফিরছে রিক্সাওয়ালা,
ওর ছায়া-ছবি
পড়ছে অবক্ষয়ে।
কিছুটা
ক্লান্ত হলে নামিয়ে আনি ছবি,
বেহুঁশ
নিদ্রার মতো পাশ ফিরি।
আজ বৃদ্ধ
পতঙ্গদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে,
ওরা উঠে আসছে
বিছানায়।
আসলে ওদের
সরকার নেই কোনো আমাদের মতো।
অথচ দেখো
আমার কোনো
যাবার জায়গা নেই
নুন্যতম
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান নিয়ে বসে আছি বেশ।