শ্রাবণী
সিংহ
শিখন্ডীবৎ
এই তো বেলায়
বেলায় বেশ আছি-
আমজনতা
শিখন্ডীবৎ
জটিল
সমস্যাগুলি প্রত্নঘরে
মরে পড়ে আছে
বহু দূর্লভ প্রজাতির মত!
মায়ের তাবিজ-তাগা ছুঁয়ে গেছে
ক্লীবের
অভিসম্পাত
রাহুর
জন্মশত্রুতার ফাঁড়া অল্পবিস্তর কাটিয়ে
উঠলেও
আসন্ন হিমকাল
ভেবে
শিরদাঁড়াটা
নিয়েই চিন্তায় আছি।
পরাঙ্গী ধানের গন্ধ
ছুঁয়ে
মাঝখানে বয়ে
গেছে কত শত তেভাগার রক্তনদী-
বদলায় নি
কিছুই,
এক দীপাধারে
এক তৃতীয়াংশ দীপ পুড়ে গেছে কোনো এক
অদেখা
ঈশ্বরের নামে ...
পরাঙ্গী
ধানের গন্ধ ছুঁয়ে যাচ্ছে আকাশবাতি,
পূর্বপুরুষের
আবছায়ারা আজও
মিশে আছে
দ্বাদশীরাতের অন্ধকারে।
যারা যায়
তারা তো ফিরে আসে না,
তাদের সম্ভ্রমেই কি
জমিনে নুয়ে
আসে
পাতাকপি গাছ,
রাইসর্ষের
মায়াময় হলুদ?
অদ্বিতীয়
অঘ্রানী
বৃষ্টিতেই জৈষ্ঠ্যে কাঁঠালের ভারি ফলন
অতঃপর
সন্ধি করে
বর্ষাতি ও
ঝুরো হাওয়া
কল্পনার রেইনি
ডে’র সাথে
বাস্তব মিলে
গেলে মনেহয়
ভালোবাসা
পেতেই এসেছি
সুঠাম স্তর
থেকে উঠে এলে
পরতে
পরতে নৃতত্ত্বের খাঁজকাটা দেয়াল,
এই যে তুমি
আমারই
দ্বিতীয় সত্ত্বা
যাকে পরিবর্তিত পোশাকের রূপ দিতে পারি না।
হাতছানি
উঠানে রণপা
জোড়া আকুল মচ্ছবের বহুরূপী সাজে...
চল যাই শালিক
সন্ধানে,শালিধান। ভোর ভোর বকের সারি
ভাঁপাপিঠের গোকুলগন্ধ। ফুটোফাটা খেত থেকে
ভুঁইকুমড়োর
আলসে গড়াগড়ি।
খেজুর বন, জিরেন রস এবার
পেড়ে নেওয়ার
পালা
ওই এক
জন্মেই দেখার যা
পরবর্তীতে
পরাশ্রয়ী দৃশ্য বলে কিছু নেই আর
মহাশূন্যের
প্রগাঢ় আঁধার
এই শূন্যতার
নাম কোনো শূন্যতাও নয়!
অভিমান
পৌষমুলুকের
আমন্ত্রণে জেগে ওঠে মৌতাত
সুদূর
বনভোজনের
উপায় নেই
যাবার ...
অন্য শহরে
শীত বুঝি অশালীন
মনেহয় পাপ
ছুঁয়ে ফেলেছি
নাইট
ল্যাম্পের শেডের তলায় যত না আলো
তারচেয়ে
পুরুষ্টু কালো অভিমান।