মণিজিঞ্জির সান্যাল
কালিঝোরা
একবার দল বেঁধে গিয়েছিলাম কালিঝোরা
আমি
যথারীতি দলছুট
ছুট
ছুট ছুট ,
এরপর
যথারীতি
আমার একান্ত জলের কাছাকাছি
জল দেখলেই আমি খুব খুশি
নীল জলের রেখা
যেন জীবনের ছবি
আমার শৈশব কৈশোর আর যৌবন
ধীরে ধীরে অতি ধীরে,
ঝকঝকে রোদ
নিঃশব্দ
ও শব্দের মাঝামাঝি ,
নদীর বাঁধের উপর বহমান আঘ্রাণ হিমেল
একাকীত্ব অনুভবের জাল,
নির্জন
নদীও কি
সুরের
ছন্দ খোঁজে
বারবার ......
প্রতিবিম্ব
একটা শব্দের অন্তরালে
একটা করে স্পেস
অন্তহীন শব্দ
ভুলে ভরা হিসেব নিকেশ
কৃত্রিম রঙে ঢেউ -এর খেলা
নির্লজ্জ রেনিগেডের প্রতিবিম্ব
তারও
দাবি
সে
হল
হাজার হাজার স্বপ্নের স্রষ্টা
চিত্রার্পিত
নদী না সমুদ্র আমি জানি না
আনমনা
হাঁটছিলাম
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
পাড়
ভেঙ্গে পড়ছিল কেমন
তুমি
ভয় পেয়েছিলে
ঝিরঝিরে বাতাসে তুমি কাঁপছিলে
আমার সুগন্ধী মাখা গায়ের চাদর
তখন
তোমায় জড়িয়ে
সূর্য
কখন অস্ত গেছে বুঝিনি
তোমার আলাপী ঠৌঁট তখন
আমার
ঠোঁটের খুব কাছাকাছি
নীল জলের
রেখা
তিস্তা আর রঙ্গিতের কোনো বয়স নেই
বিশ্রামহীন
বয়ে চলেছে আপন ছন্দে
কালিঝোরার গা বেয়ে
ক্রমাগত
,
নীল
জলের রেখা
যেন
জীবনের ছবি
জলের কাছে সবাই যেন একা
মনে পড়ে প্রিয়জনের মুখ
অদ্ভুত ভাবে শুয়ে আছে পাথরগুলো
নিস্তব্ধ নিশ্চুপ
মনে হয় যেন অন্য গ্রহ
নৈঃশব্দ্যকে ভাঙছে ছন্দোময় জল
সূর্য নামছে পাহাড়ের গা বেয়ে
তিস্তা আর রঙ্গিত মিলেমিশে একাকার
শিশিরের সাথে
কিছু কথা
এক বসন্তের শেষে হঠাৎ আবিষ্কার
মাখামাখি মিষ্টি রোদ্দুরের সঙ্গে
ভাষাহীন
চোখের খেলা
গ্রীষ্মের
উপেক্ষিত তেজ
বৃষ্টির ধারাপাতে নিমজ্জিত শরীর
শরতে
শিউলি স্নান
শিশিরের সাথে কিছু কথা
সবকিছু
ঠিকঠাক
সকলকে ছাপিয়ে আবার শীতের সাথে
কমলালেবু
ছোড়াছুড়ি
সবশেষে
আবার বসন্ত
জীবনের
হিসেব নিকেশ
শেষগান
টুকরো
কিছু স্মৃতি বিস্মৃতি
ধূলা
কাদা মাখা পথে
একাকী
নির্জনে