সোনালি
পুপু
চলা
আমার সাথে কুকুরও নেই ।
আমার সাথে আছে কেবল চলা।
বরফ
সাদা আলোয়ে হাঁটা ।
আলোর সুরে আলোর সুরে আলোর কথা বলা।
ছেড়ে এলাম মায়ের কোল ।
রেখে এলাম বাপের গরম হাত।
ফুলের মালা শুকিয়ে যায়ে ,
ঝরেই যাবে স্বপ্ন দেখা রাত।
পিছনে থাকে কচি হাতের
নরম টান , আধো মুখের বুলি।
এগিয়ে যাই ,একা পথের সঙ্গে ,
চুপ,
আলোর কথা বলি।
উর শহর ।অন্ধকার।
ব্যাবিলনের কলসি ভরা জল।
পাথর ঘেরা জলের কুয়ো ।
খর্ব কায় খেপা হুনের দল।
উটের পিঠে লাল ঘুঙট ।
উঁচু পাঁচিল ,সরু সিঁড়ির গলি।
মরুর থেকে ফতেহপুর ।
ক্রমশ হাঁটি ,
একলা হেঁটে চলি।
হাওয়া মহল।জাফরি । ঘর।
উঠান ভরা বাঞ্জারার নাচ।
মশাল জ্বলা সন্দেহের চোরা গলি।
ভালবাসার আঁচ।
যমুনা কালো ।যমুনা নীল ।
বিষ গভীর। তোমার খোঁজ নাই।
একলা পথ ।নতুন ঘর।
তোমার পাশে হাজার রোশনাই ।
একলা চলি ।কলকাতায়ে।
রাস্তা । ট্রাম ।বেলফুলের রেশ।
কেল্লা খুঁজি ।মরু শহর ।
আতর দান , সুর্মা টান শেষ।
এবার চিনি ।
সেই যে বাঁক ।সেই তো সে-ই।
সেই তো পথ । প্রান।
নির্ভয়েতে এগিয়ে চলি।
সঙ্গে চলে
একলা চলার গান।
ঋজু
কালজয়ী
চিকন সাড়ি।
চিকন ত্বক।কাজল
চোখ।
মুক্তো ঘেরা মনের চারপাশ।
ঝিলিমিলিক।
রুপোলী চুল। ফুল –ফাগুন ।
মনের মাঝে আল্লাদের বাস ।
ঠোঁটে মজা ।
চোখে হাসি। কে বলে
কাল
হরন করে সকল মধু মাস?
তুমি তুমি-ই।
সেই তো প্রান।ফাগুয়া
দোল।
রঙ বাহার, রাসের রসোচ্ছ্বাস ।
ক্যালিডোস্কোপ
একটা পৃথিবীর মধ্যে
কি ভাবে অনেক টুকরো টুকরো পৃথিবী
ঘুরতে থাকে।
আমার রবীন্দ্রনাথ ছোঁয়া ;বইপত্র ছড়ানো পৃথিবী,
তোমাদের ট্যাঙ্ক টপস পড়া ডিজাইনার
পৃথিবী,
পাঁচি
মাতালদের ঝাঁঝালো গন্ধ আর চাট মাখা পৃথিবী,
বাচ্চাগুলোর খাতা বই আর পরীক্ষার
টেনশান ভরা পৃথিবী—
সব যে যার অক্ষ পথে ঘুরে চলে সারাদিন
ভর।
দৈবাৎ কাছাকাছি এসে
একটা একটার সঙ্গে ওভার ল্যাপ করে
যায়।
এ পৃথিবীর বাসিন্দা ও পৃথিবীকে বলে
“হাই ,কেমন আছো
?”
ঝাঁকি দর্শনের পর আবার সবাই চলতে
থাকি নিজের নিজের বৃত্তে।
কিন্তু অচেনা জীবনের নাগর দোলা
চেনা যায়না, চেনা যায়না।
বিবিধ
বাংলা হ্যাঁ
এই মুখের কথা
কথার কথা
বলি
বাংলা মানে
চোলাই হাঁটে
গরিব পাড়ার গলি
বাংলা করে
বলতে বললে
সহজ কথা বলা
পাতি বাংলা
আতি বাংলা
গ্রাম্য ধারায়
চলা।
বাংলা করে
পড়তে শাড়ি
নাক কোঁচকান
মেয়ে
মধ্যবিত্ত ঘরকন্না
বাংলা হতে চেয়ে
সত্যজিতের বাংলা
থেকে বাংরেজি হাঁসজারু
এখন কি আর নায়িকা কে ডাকবে
তুমি চারু ?
ইংরেজিতেই হ্যালো হাই
আর থ্যাংকস সাহেবের মতন
ডুব সাঁতারু খুঁজবে কোথায়
বংগ ভাষার রতন
এতোল বেতোল
আজ হাওয়াবাতাস কেমন অন্যমনস্ক ,
একটু এলোমেলো আর ধুলাবালি
মাখা
এতোল বেতোল সেই হাওয়াদের দিকে
তাকিয়ে
আমার মনে পড়ে গেল
আমি পিট্টু খেলতে বড্ড ভালবাসি
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে ছায়া নেমে
শিরশির করা অব্ধি
মন খারাপদের পায়ে মাড়িয়ে গলিময়
দৌড়ে পিট্টু খেলি
সাতখানা চারা থাকে প্রাণ
ঘষে ঘষে মসৃন হয়ে যাওয়া দুঃখদের
মত
বড্ড প্রিয় ওরা
তোমাদের ঠান্ডা ঘরের কাঁচের শোকেস
অনায়াস মসৃণতার চেয়েও অনেক অনেক
দামি
হিরে সোনা রূপো তুলে রাখো
পিট্টু খেলতে এ সব লাগে না।