অরুণিমা মন্ডল দাস
কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ১
খুব জোরে কালো ধোঁয়া মাথা, বুক, পেট শরীর র ভেতর দিয়ে কিলবিল করছে
মাথা ঘুরছে
চোখ গুলো“অতীত” হ্যারিকেন বাতি!
“ টিমটিম” জ্বলছে
ধড়ফড় করে উঠে পড়া “রবীন্দ্রকাব্য”
বদহজমের বমি দেহ” আন্দোলিত
হয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসছে--
“ বমি”
অসহ্য ” কষ্টে র শূলবেদনা!
কবিতা” নামক সন্তানের জন্ম!
কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ২
ইঁটের মধ্যেকার অনু পরমানু রবীন্দ্রনাথ”
নামক গন্ধ হাতড়ে চলেছে---
পাশে বসে থাকা“ কবিতা, গল্প, উপণ্যাস” উঠে দাঁড়াল
প্রিয় রবিঠাকুর” র গোঁফদাড়ি, সরল চোখ “ভাবনা” “বিরহ”“নারী হৃদয়ের ত্রিকোন প্রেম” বিছানো দর্শকের
মধ্যে থেকে তুললেন!
“জ্বলজ্বলে” আনন্দে উল্লসিত
মন!
কবিতার প্লাস্টারে কবি অট্টালিকা ময়
কাব্যে ডুবন্ত চাতক!
চায়ের” পিপাসা কি জলে মেটে?
লেখার পিপাসা ও “মোহে” ও কাটে না?
কবিতা র লাইন পায়চারি করছে,
কাটছে, জুড়ছে---
মাইলব্যাপী পথে কবিতার
অবাধ বিচরন--!
ধীরে
ধীরে বড় হওয়া সোয়েটারের উজ্জ্বল
চাকচিক্য! কাব্য স্তম্ভের আলো বিনিময়!
জোড়াসাঁকো ঠাকুর
বাড়ি ---কবিতাপাঠ
হেঁটে যাচ্ছে গলার মধ্যে কবিতাগুলি
হাততালি হীন নিরব কবিবৃন্দ
চোখে সায়েন্স আর্টস কমার্সের
হিসাবনিকাস
কবি কবি উচ্ছলতা মারা গেছে সাজগোজের রক্ষনশীলতায়
হাসিমুখে র কালো কালো লাইন পড়তে পড়তে ঠোঁট
চেপে যাচ্ছে---
“চাপান উতোর”
দমকা হাওয়ার আবেগটা “ভালো লাগার” পারদের উঠানামা
কে বুঝতেই দিচ্ছে না---
তরুন কবিদের কি মন” থাকতে নেই?
জীবনানন্দ দাশ, জয় গোস্বামী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রাও কি তরুন ” ছিলেন?
উনারাও প্রথম কবিতা পাঠে” হেসেছিলেন “সবুজহাসি”?
কেঁপে উঠেছিলেন কি প্রথমবারের মতো “রাজনীতি র কালো দাঁত দেখে?”
দর্শক হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসেছিলেন কি?
তাকিয়ে থাকতেন কি প্রথম চেয়ারে র
দিকে হতাশ হয়ে?
হাওয়াদের” সংগে বারবার মনে
মনে কথা বলতেন কি?
সুন্দর” প্রেমটার ব্রেক আপে কেঁদেছিলেন কি?
তরুন কবিদের কি মন থাকতে নেই?
মধ্যবিত্তদের কি “কবি” হতে নেই?
জীবনানন্দ দাস ও বাংলা
সাহিত্য আ্যকাডেমি
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা সাহিত্য
আ্যকাডেমি----
জনকোলাহলের ফাঁপা অহংতে খুব
নিঃসঙ্গ----হলরুম
চেয়ারগুলো একে অপরের নোংরা খুঁজে
চলেছে---এ ওর কান নাক কেটে হাসাহাসি
করছে---
জলের বোতল পাহারাদার বিশ্বস্ত“ লক্ষণ”--
“কবিতা” কেন “রাম” হতে পারে না?
যেকোনো মঞ্চের পাঠ থেকে লাফিয়ে
বলে
উঠবে------
“আমাকে বাঁচতে দাও, আমার মর্যাদা দাও,
আমাকে টুকলি করো না আমাকে
বইতে
দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”
হয়তো----
বড় বড় রোমান্সের পাহাড় ঠেলে
চিৎকার করে বলত----
“ আমার বসন দাও ,
সম্মান দাও,
স্বীকৃতি দাও আমি তোমাদের
প্রিয় জীবনানন্দ দাশ
পল্লী কবি জসীমুদ্দীন দের ফিরিয়ে দেব--”
অডিটোরিয়াম বলে উঠত---“ আমাতে রাজণীতি নয় ভালোবাসা দাও ---এতো আবৃত্তি র গলা নয়
কবিতা দাও আমাকে গাছের সবুজ রস দাও, কৃত্রিম ফ্রুটি নয়---?”
সাপ হয়ে বসে থাকা হলঘরটি শতশত বছর ধরে
ফুঁসছে---
মন খারাপের কবিতাটি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে
নটোরের বনলতা সেনের দিকে”
দুধারে ফুলের গাছ উড়ছে
নাচছে ,খেলছে----
রক্ষনশীল গন্ডি থেকে খানিকটা
দূরে----
যাকে “অকবি ”বলে বার করে দেওয়া হল
“জীবনানন্দ দাশ” তাঁর ছদ্মবেশেই
এসেছিলেন-----
মুখের দিকে কেউ তাকায় নি----
“ক্ষিধে” বারবার তাকাচ্ছিল ক্যান্টিনের দিকে----
শোনে নি তাঁর “কবিতাপাঠ”----
চানাচুরের সংগে কবিতার ছন্দগুলো কে মিশিয়ে
খেয়ে নিল-----
চায়ে দুধের অত্যাধিক মাত্রা যোগে “গরম সরবত”
ছেলেটি “চোখ ”আর “বাংলা সাহিত্য” রেখে গেল
“সভাঘর”---- হলদে ধোঁয়াতে
কাসছিল----
“সায়েন্স প্রভাব ”কিলবিল করছে চারিদিকে----
আজও “জীবনানন্দ দাশ” ভিখারী --?
পুনরাধুনিক
পেটমোটা পুলিশ অফিসার
ঘুষ
জল
সেক্স
রেপ
ছোটো
রুলি মাছ
বেশী
তেল খায় না
পুনরাধুনিক বেল্ট
জিম
ওজন কমায়
“কাতলা” মাছেরা বোঝে না
সরষের বীজে ডুবে থাকে
ছড়া
কবিতা
সর্টকার্ট
গদ্য
আধুনিক
ছোটো শক্ত বেতের লাঠি
পয়েন্টে আঘাত
প্রাইমারী
হাইস্কুল টপার?
মেদিনীপুরের স্কুল
গেট
কালো
ধোঁয়া
নামছে
শিক্ষার বারান্দায়
কাকদ্বীপ
ইলিশ তপসে
মাকড়শা দের ঝগড়া
গাড়ি গাড়ি ডোনেশান
কলকাতা
ভাড়াবাড়ি
ঘুম
কান্না
অফিস
পার্টি
মদ
গার্লফ্রেন্ড
পরকীয়া
কাজ
বিজনেস মাইন্ড
সেক্সুয়াল চুলকানি
বাতের মলম
ডান হাতের রাগিং
বর্ধমান
আকাশ
উদার
সংসার
চামচ
চাই
উৎসব
চাঁদা
সাহিত্য
গোলমেলে পেটের রোগ
উপচানো হতাশা
শিলিগুড়ি
স্ট্যাটাস
যোগ্যতা
ব্যবহার
নম্রতা
ভক্তি
অর্থ
মজা
কীর্তনীয়া