শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুধাংশুরঞ্জন সাহা


সুধাংশুরঞ্জন সাহা

চিত্রকল্প : এক    

অথবা মধ্যদুপুরে দেবদারুছায়ার মত অপেক্ষা,
সূর্যাস্তের রঙে লেগে থাকা উপশম,
পাহাড়ের জন্মদিনে  আয়োজিত
নদী ও অরণ্যের  একক চিত্রকল্পে
চাদর জড়িয়ে যেন শীত এলো  নিকটে আমার ।







চিত্রকল্প : দুই

বাটাকলোনির বাতাবিলেবুর গাছে
রোদ পোহায় রোজ শীতের চড়ুই পাখিরা ।
সকালের রোদ্দুর মাখে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ।
জেমস লঙ সরণি সহ্য করে
অটো ও পুলকারের ছয়লাপ ।
মনখারাপের দিনলিপি ভুলে গিয়ে
আমিও  অজান্তে ঢুকে পড়ি
স্কুল বয়সের  অংকের কাটাকুটিতে ।







চিত্রকল্প : তিন

অনেক দিন পর বৃষ্টি এলে আজও
ছেলেবেলার মতই জামাকাপড় ভিজিয়ে
                                          বৃষ্টি মাখি গায়ে ।
বাবা বারবার বলত 'সাবধানে যেও ।'
তবু, দুনিয়ায় জেদিরাই পায়ে পায়ে শতাব্দী                                                                 
পেরোয় ।

#
আমার আছে শেষ ট্রেনের তাড়া ।
ভাত বেড়ে কতদিন ধরে বসে আছে মা...
দীর্ঘকবিতার মত  অল্প বয়সের বন্ধুরা নাচায় পা
শেষ অব্দি কোন নদীই রাতে ফেরে না ।







চিত্রকল্প : চার

যতই বলি ভুল, ভুল । মিথ্যে সব ।
সকালের পার্কে একা একা ছড়াই সময় !
একশো  আটটা  নীলপদ্মের  আরাত্রিক
ছুঁয়ে থাকে যত আন্তরিক হাত
হাট করে খোলা রোদছাযাময় নাবালিয়াপাড়া
আমাকেও ভাবতে শেখায়  অমাবস্যা রাতে
কীভাবে চাপা পড়ে যায়
একের পর এক পুকুরের মৃত্যুসংবাদ !







চিত্রকল্প : পাঁচ

এই  মিথ্যে  উপচানো  সময়েও
জলের আতিথেয়তা আর
বৃক্ষের শুভেচ্ছা নিয়ে
অপ্রস্তাবিত এতোটা পথ পেরিয়ে এলাম ।
তবু, সামনে শুধুই এবড়ো খেবড়ো পথ ।
যেন অজানা ঝড়ের সংকেতে বাবুইবাসার                                                                 
কম্পন ।
সময় কি নেশাতুর !
টলতে টলতে  অসহ্য গ্রীষ্মদুপুর ?
নাকি, বিকেলের আকাশে মেঘের  আনাগোনা  !
কিংবা অযাচিত চিৎকার,  ব্যস্ত ট্রাফিক
                                                       আলোর ।