সুধাংশুরঞ্জন
সাহা
চিত্রকল্প : এক
অথবা
মধ্যদুপুরে দেবদারুছায়ার মত অপেক্ষা,
সূর্যাস্তের
রঙে লেগে থাকা উপশম,
পাহাড়ের
জন্মদিনে আয়োজিত
নদী ও
অরণ্যের একক চিত্রকল্পে
চাদর জড়িয়ে
যেন শীত এলো নিকটে আমার ।
চিত্রকল্প : দুই
বাটাকলোনির
বাতাবিলেবুর গাছে
রোদ পোহায়
রোজ শীতের চড়ুই পাখিরা ।
সকালের
রোদ্দুর মাখে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ।
জেমস লঙ সরণি
সহ্য করে
অটো ও
পুলকারের ছয়লাপ ।
মনখারাপের
দিনলিপি ভুলে গিয়ে
আমিও অজান্তে ঢুকে পড়ি
স্কুল
বয়সের অংকের কাটাকুটিতে ।
চিত্রকল্প : তিন
অনেক দিন পর
বৃষ্টি এলে আজও
ছেলেবেলার
মতই জামাকাপড় ভিজিয়ে
বৃষ্টি মাখি গায়ে ।
বাবা বারবার
বলত 'সাবধানে যেও ।'
তবু, দুনিয়ায় জেদিরাই পায়ে পায়ে শতাব্দী
পেরোয় ।
#
আমার আছে শেষ
ট্রেনের তাড়া ।
ভাত বেড়ে
কতদিন ধরে বসে আছে মা...
দীর্ঘকবিতার
মত অল্প বয়সের বন্ধুরা নাচায় পা
শেষ অব্দি
কোন নদীই রাতে ফেরে না ।
চিত্রকল্প : চার
যতই বলি ভুল, ভুল । মিথ্যে সব ।
সকালের
পার্কে একা একা ছড়াই সময় !
একশো আটটা
নীলপদ্মের আরাত্রিক
ছুঁয়ে থাকে
যত আন্তরিক হাত
হাট করে খোলা
রোদছাযাময় নাবালিয়াপাড়া
আমাকেও ভাবতে
শেখায় অমাবস্যা রাতে
কীভাবে চাপা
পড়ে যায়
একের পর এক
পুকুরের মৃত্যুসংবাদ !
চিত্রকল্প : পাঁচ
এই মিথ্যে
উপচানো সময়েও
জলের
আতিথেয়তা আর
বৃক্ষের
শুভেচ্ছা নিয়ে
অপ্রস্তাবিত
এতোটা পথ পেরিয়ে এলাম ।
তবু, সামনে শুধুই এবড়ো খেবড়ো পথ ।
যেন অজানা
ঝড়ের সংকেতে বাবুইবাসার
কম্পন ।
সময় কি
নেশাতুর !
টলতে
টলতে অসহ্য গ্রীষ্মদুপুর ?
নাকি, বিকেলের আকাশে মেঘের
আনাগোনা !
কিংবা অযাচিত
চিৎকার, ব্যস্ত ট্রাফিক
আলোর ।