মিজান
ভূইয়া
তোমার উত্তরণ
দু'চোখে সামুদ্রিক পরিধি, মাটি ছুঁলে
ফুলের গন্ধ
পাই, দূরে কোথাও টিনের
চাল
আকাশের মতো
ডাকে.....
শারীরিক
উষ্ণতায় এড়িয়ে যাই
অনুগত গাছের পূজো!
আলোকিত
বারান্দায় দীর্ঘ বিকেল,শাদা মেঘে
তোমার উত্তরণ
ঘটে।
ফেলে যাওয়া
সময় নিয়ে প্রতিক্ষণ
ভবঘুরে হই, হয়তো তখন বেলা চলে যায়, আমি
শোকার্ত
সম্পদের উপর একা বসে থাকি,
আর
চিলের মতো
ডাকি।
সবই ভুল, সব
ভুল...
তবুতো মনে
পড়ে
সেই পৌষ, সেই অবহেলা। চোখের বিশ্ব জুড়ে
কত আর একা থাকা যায়!
আমার
ব্যক্তিগত গ্রহে
কে পাঠায় এতো কাঁপন, এতো শীত........!
কিছুতেই
কাটেনা বেলা।
চায়ের কাপ
পাহাড়ের মত ভারী। চুমুকে চুমুকে
ফোটে তোমার
স্মৃতি,
মহাদেশীয় ফুল।
পেছনে তাকিয়ে
ভাবি,
সবই ভুল.... সব ভুল....।
তোমাকে চিত্রিত করি
এই কাগজের
মোহে আরও কিছুকাল বেঁচে থেকে
চোখে পড়ে যে
ফুল,
চোখে পড়ে যে তারা....
জ্যোৎস্নালালিত
নারীর মতো বেলা যায়,
ঘুম পায়
শুধু ঘুম
পায়....
আকাশে
অন্ধকারে যত পথ,
পা থেকে খুলে পড়ে
ক্ষত....
পাখিদের নীড়ে শারীরিক লবণে,
তবুতো তোমাকে
আমি চিত্রিত
করি....!
.......এবং গাছে গাছে জমা রাখি
জামাকাপড়ের
ছায়া।
গাছ ও মানুষ
গাছে গাছে
টের পাই মানুষ।
মনে হয়
একেকটি গাছের
ভিতর একেকজন
মানুষ বসে
আছে।
আমি কবি বলে
আমার
অটোগ্রাফ নেয়
গাছ ও মানুষ।
পাখিরা ছুটির
দিনে বাতাসের মতো
আসে,
শস্যদানা
থেকে ঠিকানা নিয়ে
অন্ধ চোখে
খুঁজে নীল বর্ণের দুপুর।
কোন একদিন বেলা চলে যায়,
আকাশের মেঘ
দেখে বুঝি, আমিও
গাছের মতোই
মানুষ।
তোমাকে আশীর্বাদ করি
কোলাহল থেকে
ডাকলে
তোমার আগে
চলে আসে দেশ ও দেশের মাটি।
পতাকায়
প্রজাপতি চাই। তাইতো
ধুলোউড়া পথ
বুকে নিয়ে হাঁটি।
তোমাকে
আশীর্বাদ করি
নিজেরই
ভূগোলের মতো। আমিতো
অস্বীকার করি
না সময় ও সমাজ।
ঈশ্বর উড়িয়ে নেয়
হৃদয়চুক্তির কাগজ। তখন
আমার চোখে
শুধু ঘুম। তোমার চোখে
শুধু আমি।
তোমাকে
আশীর্বাদ করি নিজেরই ভুগোলের মতো।
কিছু অক্ষর
জড়ো করে একত্রিত হই
শুধু তোমার
জন্য।