নাসির ওয়াদেন
ছায়ামূর্তি
নিজের ছায়াকে বিশ্বাস করেই তো
ছায়ামূর্তি হয়ে যাওয়া
অবিশ্বাস্য খড়-পেপার পাল্পের কাজে
অমূর্ত অবয়ব খুঁজে পাওয়া
মধ্যযৌবনা মাতৃত্বের দৃপ্ত
ব্যক্তিত্বের ছটা
বুকের ভেতর জমে থাকা মায়া
কষ্টকল্পিত কৌশলগুলো ঠেলে ঠেলে
পিষছে জাঁতাকল সংসারকায়া
এক অন্য আকাশে অনন্তের সৌন্দর্য
প্রকাশ,,,,
পরমান্ন
হাঁড়ি চড়া আর রান্না করা
এক নয়
হাসির মধ্যেও কান্নার স্রোত বহে
মুক্তির সোপানে
উড়ন্ত ভালবাসা দিয়ে মন শুধু
জয় হয়
কিন্তু, প্রকৃত সারস ঠোঁট জুড়ে
বাসা বাঁধে বুকে
তখনও রাত্রি নেমে আসে না
চোখের আড়ালে
বাসি খাবার এঁটো হলেও
পরমান্ন লাগে
সন্দেহ বড় বিষম বস্তু
সন্দেহ বড্ড জ্বালায় বুকের ভেতরটা
সন্দেহ থেকেই শুরু প্রশ্নের
নীতিকথা খুব সহজ, সরল
ভঙ্গিতে হাঁটে
রাজনীতি বড় খটোমটো, কর্কশ
,,,,,,
সংসার জ্বালা পাথরের বোঝা কাঁধে
পথের
বাধার উজান ঠেলে উড়ান--- উত্তরণ --
বাঁশপাতার নিটোল টানা চোখ
সরল পারিবারিক মাধুর্য নষ্ট করে
সন্দেহ
অবিশ্বাস সম্পর্কের ফাটল বৃদ্ধি
করে,
,,,,,
দর্শন
অচিন শিল্প ঘরানার অভিনব উপস্থাপনা
উড়ন্ত পাপড়ি দিয়ে আত্মসমর্পণ করে
হাসি-কান্না সময়ের স্রোতে ভাসমান
ঢিলা,,,,
প্রশ্ন থেকেই প্রশ্নাত্তরে যাওয়া
কষ্টকল্পিত এঁদো শহরের আলো-আঁধারী,
দিগন্তরেখা মোলায়েম চাঁদের খিলান
ছকভাঙা আধ্যাত্মিকতার নাড়িটান ---
সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ালে মিথ্যে, প্রবঞ্চনা
,সব
টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে
মৌনআকাশে যুবতীর ভেজা চোখে মাটির
গন্ধ,
দেওয়াল টপকে নানাকথা ভেসে আসে
নানা প্রশ্ন বিহারে বিথারে ---
প্রশ্ন থেকেই তো দর্শনের আজব
উৎপত্তি--শুরুও,
অঘ্রান গন্ধমালিকা
সমস্ত উঠোন জুড়ে নবান্নের মিঠে
স্বাদ
নেমে আসে অন্ধকার ভেদ করেই
বাতাস হিমেল শব্দতরঙ্গ,যৌন
কামনা বশে
স্মৃতির দরোজা বেয়ে নেমে যায় সিঁড়ি
সর্বাঙ্গীণ এক অধ্যাত্ম পরিবেশ ফুল, মালা,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভালবাসা বোনে, ,,,
বালিয়াড়ি কাঁচাচাঁদ স্বপ্নের ভেলা
স্বপ্নতোয়া
স্রোতের উঠোনে হামাগুড়ি টানে
কীসের গন্ধ ভেসে আসে অঘ্রানী বুকে, অলক্ষ্যে--
একপাশে, বহুপাশে
ধানের সোনালিগুচ্ছ
রূপালি বহতা ভরসার স্রোত,
উঠোন জুড়ে বুঝতে পারছে না, সুখ কী ?
ভোরের পাখির কণ্ঠিকুঞ্জন,গলগণ্ডে
অঘ্রানী গন্ধমালিকা,,,,,