গৌতম কুমার গুপ্ত
পথ
নিত্য নৈমিত্তিকে যে সব
ক্ষতর জন্ম
জলের প্রলেপ দিই
অন্তর্ঘাতে কারা রোজ জন্ম দেয়
দুর্ভোগ
দুর্বিনীত হয়ে উঠি ততোধিক
আমার নিজেরই সাহসিকে
দু একটি বিনীত নিষেধ সম্মোহন
সত্য ঊবাচ উক্তি
এসবে যখন কাজ হয় না
বুড়ো আঙুলের কেরামতি দেখাই
দেখি সব ফণা নীচু হয়
নির্বিষ আস্ফালন
ক্ষত নিরাময় হতে থাকে
অসুখ
অসুখের প্রদাহ রক্তমাংসে
বিরুদ্ধ জলাশয় দেখি উঠোনের পাশে
ধুয়ে ফেলি রক্তরং
ওখানেই সাফসুতরো ক্রমঃবিকাশ
অগত্যা
আয়ুর্মোহ প্রসূত প্রত্ন শাকপালায়
আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো আরোগ্য
বেঁধে রাখি
নন্দন বোধে থাকতে থাকতে
মশা ও মাছির অসভ্য পাখায়
কে অদৃশ্যে ছুঁড়ে দেয় উষ্ণ প্রকম্প
ভাইরাস প্রতিষেধকে
অদৃশ্য কামান দেগে যায়
দেশজ উচ্চিংড়ে সাবালক প্রপিতামহ
আমরা সবাই রাজা
আলমারি খুলে বের করে
আলোর পোশাক
ঝক্কাস লাগে খড়ের ওপর
মাটির ওপরে রংমশাল
আলতো ছোঁয়া শ্যাম্পুচুল
ঘুণ ধরছে নখের বয়স
সেলফি তুলে পলিতকেশ
ডিওড্রেন্টে মাতছে বাতাস
পাশ ফিরছে মাংসতাল
শিরার নদী শাখাপ্রশাখা
নাকের পাটায় আঁচিলরাজ
তবুও তো সে রাজাধিরাজ
গান্ধী জয়ন্তীর দিনে
উলটপুরাণের ওম মুছে নিই প্রায়শঃ
এপিঠ ওপিঠ করতে করতেই
রাতের পৃষ্ঠা ওল্টাই
পড়ে দেখি অন্ধকার
কোথাও আলো লিখেছে
শ্বাপদেরা ঘোরে ফিরে
নিশাচর জেগে থাকে
মানুষের নিদ্রা শোনে
রাতচোরা পাখিটি নির্জনে উড়ে যায়
শহরে নগরে আজ যা কিছু হল
চরকার গান জন্মদিন
কথা ও কাহিনী
বলে গেল মহা আত্মার নির্মাণ
গান্ধী জয়ন্তী দিবস
একা একা পাঠ নিই হিংসা অহিংসার
স্বাধীন সফল মৃত্তিকায়
নীতিপুরুষে ঘুমিয়ে থাকে স্বরাজ্য
নৈরাজ্য
আমাদের হাতের আঙুলে
ভাঙাচোরা অহিংসার পুতুল
নিরুচ্চারে শুধু নীরস কথা বলে
পংক্তি রচনা
থেকে যাবে? থেকে
যাও
পংক্তি রয়েছে দ্যাখো
দিয়েছে কেউ দয়ার দান!
মান সম্মান অপমান
আছে নাকি পশুদের
তুলে রাখে সব কলারে
মনের পকেটে বর্ণময়
স্বরভাষ ব্যঞ্জনে সাধু
লেখো না যা খুশি ঘেঁচু
এখনো কি তরবারি আছে
যত সব আজগুবি কথা
সন্দেহ হয় বারুদের দেশে