শ্রাবণী সিংহ
নাই-বা জানলে
অথর্ব ব্যাকরণ বোঝানোর চাইতে কোনো
রাজনৈতিক দলে
কোরাস গাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ!
সিস্টেমের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে
আলজিভ শুকিয়ে আসে
রক্তচাপ ধোয়া অন্তর্যামী স্রোত...
গিলে নিই,
ঘিলু-ছেঁড়া সঙ্গীত ভাসানের মিছিলে
ক্ষমারা শোভাযাত্রায়
গা ভাসাতে শিখে যাও শৌখিন জ্যামে
কে কার আপন-পর ঈশ্বর
-নাই-বা জানলে!
জোনাকির পরকীয়া
নারী এবং নর-
এর বাইরে বিশ্বস্ত বন্ধু, পরমপ্রিয়
হয়ে ওঠার গল্প
নেই আর।
বদলে যাওয়া প্রসঙ্গের ভেতর,
খেই-হারানো অজস্র কথার ভেতর
বাড়ছে ইমোটিকনের সংখ্যা...
স্বল্প জোত্স্না চাঁদের বৈধতা
পরকীয়া আসলেই রাতজোনাকির মতন--
রাত আড়াইটেয় ভোর আর ব্যথার
পরিক্রমা সেরে
অন্ধকারের চিতায় আত্মহনন!
সূর্যোদয় কাঁধে হাত রাখলেও
তাদের কোনোদিন সকাল দেখা হয় না।
ওদের জন্য একটু
এই সময়টা বড় জটিল...
ৎ এর সাথে সন্ধি হয়েও হয় না
শরবনের।
বুনো চাঁপার বাষ্প-গন্ধ ইত্যাদি
নিয়ে মিশে যাওয়া ছাতিম বাতাস।
রাতকুয়াশার তন্তুতে নেমে আসে ধূলোর
মাঠে হ্যালোজেন আর্দ্রতা।
প্রিয়,খুঁজে
চলি এসো রোদজ্বলা বলিগ্রস্ত সেসব হাতে
তুলে দিই কদিনের অন্নজল
গায়ে-গতরে খেটে
আমাদের ঘরকে উৎসবমুখী করে গেল
যারা।
ছবি
জুম্ করে দেখি পাতার ভাঁজে
ছোট্ট বেলকুঁড়ি …
ক্যাপশন ছাড়াই কিছু ছবিতে অনেক বলা
হয়ে যায়
যেমন ফসলের নাভিতে
পোকার লালমুখ
যেমন থেমে থাকা রোলার কোস্টার
রাইডে একটু আগের বিপন্নতা,
যেমন ডার্করুমে আমি একা
আর
ছবির নেগেটিভে তোর ওই আগ্রাসী রোদজ্বলা চোখ
খড় খোঁজার অছিলায়
একুশটি জোড়া শালিকের কসম,
ছিপ ফেললেই মাছ ধরা যায় না।
গুটিকতক হরিয়ালি পালক পড়ে আছে,
এসেছিল হলুদ পাখি সে
বসন্তের রোমাঞ্চ নিয়ে
খড় খোঁজার অছিলায়
ভেসে গেছে আবার কোন্ দিগন্তে...