রবিন বনিক
অক্ষর মিছিল
অর্ধসত্য সেতুতে অক্ষর মিছিল—
মিথ্যা আসুক বা না আসুক কিছু শব্দ
সত্য হয়ে সূর্য্যের মুখোমুখি—
সত্য অর্ধ হয়ে নদে ভাসুক আর না
ভাসুক
ফুলরমনীর দেহ গভীর সত্যে বসে আলো
দেখছিল
অক্ষর মিছিল–শুধুই
অক্ষর মিছিল
শব্দজব্দ
অকস্মাৎ দেখি প্রথম পঙক্তির মোড়ে
দাঁড়িয়ে—
চোখে শব্দজব্দ—
মাইরি বলছি– আড়চোখে
দেখার লোভ ছাড়তে পারিনি,
এক অদ্ভূত শিহরণ, এক
অদ্ভূত বসন্ত এলো হাওয়ায়—
দেখ কি কান্ড! ভেবেই নিলাম তুমিই
আমার প্রথম শত্রু,
অহংকারের শেষ নেই —
ভেবেই নিলাম তুমি আমার এক বিড়াট বড়
মাঠ—
বার বার মধ্যমাঠ থেকে এক দমকা
হাওয়া এসে
জড়িয়ে ধরে বলছে আমিই প্রথম আমিই
শেষ।
একদিন আমিও আড়চোখে সমুদ্র
ছুঁয়েছিলাম—
একদিন আমিও আড়চোখে নাব্যতা
গুনেছিলাম—
শীত এলে ঘুরে যেও একবার
শীত এলে ঘুরে যেও একবার—
পর্ণ মোচন করে বসে আছে নিজস্ব
বিকেল—
অসম্ভব যন্ত্রনায় যখন পুড়ে যাচ্ছে
সব ভৌমজল
তখনও বলতে পারিনি বসন্তের কথা
তখনও বলতে পারিনি তীব্র নদীপথের
কথা—
শীত এলে ঘুরে যেও একবার—
যারা কলস ভরে তুলে নিয়ে গেছে নদী
তারা এখন আর আসে না—
শীত এলে মাঠ খুলে রেখে ছুটে যাই
প্রত্যয়ে—
ব্যাথা
ব্যাথার কথা জানিয়ে লাভ কি বলো—
ব্যাথারও তো নিজস্বতা বলে কিছু আছে–
দেখ–ওঘরে স্তুপ হয়ে আছে
এক চোখ অতীত–
তুমিও তো এক গুলিবিদ্ধ পাহাড়ের মতো
ডুবে আছো শীতে–
দেখেছো–বৃষ্টিও
গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে বুকে–
এক বিন্দু জলে বেজে ওঠে বেহালা–সুর
আর যাকে বলো বুক–সে
তো কবেই আকাশ
হয়ে উড়ে গেছে
শূন্যে—
জেনে রেখো
শূন্যেরও এক অপূর্ব রাত্রি আছে—
উৎসব
অথবা শব্দ ভাঙার শব্দ—
অথবা শব্দ ভাঙার শব্দে যদি ভেঙে
যায় জল
অথবা শব্দ ভাঙার শব্দে যদি ভেঙে
যায়
এক মাত্রিক কাব্যপথ
তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে আজ আমাদের
সব কাঁটাতার
ভাঙা
তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে আজ আমাদের
সব আকাশপথ খোলা
মাঠের মোহনায় মিশে আছে সব উৎসব পথ
এসো, আর–একবার হাতে হাতে মাখি উল্লাস—