বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

শুভদীপ পাপলু


শুভদীপ পাপলু

মহীয়ান

আজও বিজ্ঞান ভেজে জনশ্রুতিতে
আজও রক্ত মেপে চলেছে দৈর্ঘ্যপ্রস্থ
আজও মা,ভাত বেড়েছে গণসঙ্গীতে
পোড়ো কথায় মিথ্যেরা অনুমোদিত।

ধরা পড়েছিল শ্রেণি সংগ্রামের খুঁত
তোমার দৃষ্টি কাজললতা বিহীন...
অমাবস্যার দেহে বৃষ্টির ছোপ অদ্ভুত
সুপারহিট,মহানায়িকা'ও পরাধীন-

খুন করেও জামিনযোগ্য,এ স্বদেশে।
মরে যেতেও জীবনবীমা দরকার।
ধরা যাক আজ মহাসমুদ্রের অবকাশে
রবীন্দ্রনাথই,শব কবিতা'র সৎকার।

আয়ুরেখা ছেঁড়া,মেজো রাজার প্রস্থানে।
ছন্দ নিহত উৎসব সংখ্যার পদবাচ্যে-
সন্ন্যাস নিয়েছি মাঝবয়স্কার নাচ গানে,
শিল্পীর মতো দেবীর স্তনে,নিঃসংকোচে।







মহাপ্রস্থানের ব্রতে

বিগত প্রশ্রয়েই আপ্লুত,আসন্ন বুভুক্ষের
সমন্বয়ে এলোমেলো,জাগ্রত হস্তাক্ষরের সেতু-
দায়ী শর্তে ঐ লক্ষ্যে,জরায়ু'কে কোন সূত্রে ছোঁবো?

প্রেয়সী হোলো ক্রীতদাস,
ফুটফুটে হত্যালীলা'ও সাঙ্গ হোলো!
এক অসহায় ভ্রুণ,উপদ্রব সঞ্চিত দ্বিগু সমাসের
ন্যায়,সেনাপতি হোলো ধর্মযুদ্ধের...
নিরুচ্চারিত আকাংখার স্বর,
যেন সর্বসম্মতিতেই গ্রাহ্য,উদ্বাস্তু সমস্যা-
গ্রাহ্য মাৎস্যন্যায়-
সৃষ্টি হোলো,ঈশ্বর ভক্তির অজান্তে।

পশ্চাতে এক ভোগ্য নারী, কৃষ্ণকালো
অনন্ত সংশয় হাহাকার এড়িয়ে,শীর্ষ দহনা-
শোনো ভিরুবক্ষ...
অপহৃত স্বরবর্ণ বন্দী যে ভূগোলের খাঁজে,
ফিরিয়ে দাও সেই-ই ভ্রান্তি,
ফিরিয়ে দাও সেই-ই মূর্ত নিঃশ্বাস,
সেই অনাবৃত অথচ অবাধ্য রশ্মি-বিচ্ছুরিত প্রহর।

হৃত মুখ বিষণ্ণ হোলো প্রভূত গৌরবে,
বলো বর্ণমালা,কি আঁকব তোমার দুঃখিনী প্রচ্ছদে?








শয্যা

নচেৎ জলরাশি'তে ধোওয়া শ্রেষ্ঠ মূর্তি'তে ব্যর্থতা মুছে,
কৈলাসেই কেন নদী পথ পাল্টাতে বাধ্য হল?
গৌরব লক্ষ্যে,অভিযোগ শোনেনি ইতিহাস প্রণেতা-
শর্তের অস্তিত্ব ছেড়ে তাই এ অর্ধে,কণ্যা জন্মালো।

বিভেদে শণাক্ত খাম,সহস্র মেঘবালিকার দ্বিপ্রহরে-
অথচ কমা'য়-চশমা খোলা শ্রোতা'র ক্লান্ত প্রাদুর্ভাব!
হয়ত সত্যিই মাটি ফুঁড়ে সভ্যতা জাগবে আঁতুড়ঘরে
যেমন কন্ঠস্বর বুঝে নেয়,জিহ্বার প্রত্যেক'টি হিসাব

হিংসা স্বয়ং চলে,হিংসাত্মক চরিত্রের ত্রস্ত দেবালয়ে
আহত কবির ইস্তেহারে বাতিল,সমস্ত লোকলজ্জা-
স্বনামধন্য ঢেউ,জন্মান্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে শয়ে শয়ে
কিন্তু অবুঝ দেহ টের পায়নি-খোয়া গেছে শরশয্যা।







গচ্ছামি

মৃত্যু সংরক্ষণে বিষয় বহির্ভূত স্খলন জন্মায়,
জন্ম নেয় বিধিলিপির অনুসন্ধান।

কতিপয় বজ্র,আসন পেতে অসংযত,মসৃণ-
বিরুদ্ধ হীনবদ্ধ শৃঙ্খল,
জাগ্রত সত্য বেমানান,
আগত উপভোগ্য বিরোধ-
সমষ্ঠির অভিশাপ;
অতঃপর বর্ণমালা'র কাছে হেরে,স্ব-বলিদান।

রক্তস্তরে বিভাজিত বসুধা-
যেন মতান্তরে অপহৃত ক্লীব ঋষি,যাজ্ঞবল্কের
শরীরি সংকেতে ব্যর্থ ব্যজস্তুতি।

জন্ম নিয়ন্ত্রনে লুপ্ত প্রাণশক্তি বিবর্ণরঞ্জিত হয়,
আত্মহত্যায় সিদ্ধ শূন্য মুখ।







বেলা, বোস নয়

সিঁদুর দান সমাপ্ত;লগ্নভ্রষ্টায়
এবার মালকোষ রাগ ধরো।

জানি,ডুবে যাব জলোচ্ছ্বাসেই।
তবু,যদি পরাগমিলনের নিগূঢ়
ইতিহাসে,হয়ে যায় কণ্যা বিদায়-

বা,বিধবা হয় নারী-সমগোত্রীয়...

তবে তাকে সন্ধিবিচ্ছেদ শিখিও;
যেহেতু,পুষ্পসজ্জিত এই তদ্ভব মূর্তি
হতে ক্ষরিত ' শ্রী শ্রী দুর্গায় নমঃ'

সমকামে নিশ্চিহ্ন যত ছেদ-যতি,
তার চেয়ে অধিক কামাতুর,ধর্মও।

অনবদ্য তুমি;মূর্ত দৈহিক চলাচলে
যেন,হঠাৎ মৃত্যুর মতো,চোখ খোলা...

এই রূপ অর্জন করেছে বহু সুখ্যাতি।
কখনও জঙ্গলে,কখনও বা দাবানলে,
কারণ পা'দুটো দাঁড়িয়ে গেছে,বেলা!