মন্দিরা ঘোষ
তোমার বাড়ি
তোমার আমার অনেক দূরের বাড়ি
মাঝখানে থাক বৃষ্টিগোনা পথ
এই বাড়িতে মেঘদুপুরের সারি
তোমার ছাদে আকাশ খোলা ঝড়
মনের ভেতর জমছে ধূলোরাশি
বুকের ভাঁজে লুকোনো সংবাদ
অন্ধকারের আঁচর কাটা দাগে
গভীর রাতে উঠবে জেগে চাঁদ
সকাল বিকাল ভাঙছি সেতুঘাট
চোখের পাতায় শঙ্খলাগা ঘোর
সন্ধে আসর গভীর অবসাদে
তোমার বাড়ির কখন হবে ভোর
তোমার ছোঁয়া আগুন ঝরা সুখ
পুড়ছে আমার ধূসর গলিপথ
শরীর জুড়ে তোমার ইশারায়
জ্বলতে থাকি পুড়তে থাকে ঘর
ঋণের পিক্টোগ্রাফ
দেখা হবে না আর জানি
মনখারাপ ভাসতে ভাসতে
হিম শূন্যতায়
প্রিয়মুহুর্তের চৌকাঠে বিষণ্ণতার
ঘট
সেজে উঠছে নিজে নিজেই
চোখের ভেতর হারিয়ে যাওয়া
দুর্গমতায় শুধু বরফ গুঁড়ো
রাতপোষাকের জোনাকিরা
অবেলার ঘুমে চলে যায়
ঘাটের সিঁড়িভাঙা অংকে
জ্যোৎস্না দুপুর মুখ লুকোয়
আজ একটু বোস না হয়
বাঁশপাতার দোলনায়
বৃষ্টিআঙ্গুল ছুঁয়ে যাক ঘাসজমি
আমি তুলে রাখি বুকের ছলাৎ টুকু
ঋণের পিক্টোগ্রাফে
অভিমান
অভিমানের কোন অভ্যন্তর নেই
ধারণে থাকে না দাগ
শব্দের ধূসরতা মুছে
সহজ ভগ্নাংশের বিয়োগ
শূন্যতার গুণিতকে সাদাশোক
ডালপালাগুলির জন্য আওতা
জমিয়ে রাখা চৌহুদ্দিতে
রক্তের প্রচ্ছদ আঁকে কেঁপে ওঠা
নীলঠোঁট
নির্মাণ
সব নির্মাণ পুড়ে গেলে
রোদ আঁকে বেদনা আকাশ
কামনা পুড়ে গেলে মেঘে মেঘে
বিষাদসঙ্গম
যে ভাবে শরীর টানে
শরীরের রাশ
অস্ত ক্ষিদে শুষে নেয়
মৃত জরায়ুর পাতা
তোমার শিশ্ন শুধু মাথা তোলে
যখন অন্ধকারে একাকী ঘোড়া
সব হটাও
খুলে পড়ে সময় থেকে সময়ের শব
খুলে পড়ে দিন থেকে দিনের সততা
তখন নিজের ভেতর চিৎকার শুধু
সব হটাও হঠাও সব
শব্দ থেকে খুবলে নাও তেজ
অক্ষর মুগ্ধতা ছিঁড়ে ভরাডুবি আঁকো
গ্রহণের মন্ত্রজল ব্রহ্মতালু ছুঁয়ে
ডুবে যাক মায়ায় অন্ধকারে
সব মুদ্রারাত অচেনা হতে হতে
বুকে অর্থহীন হাপরের টান
অনায়াসে তখন জীবন্ত লাশ
পুড়ে যায় ফর্মালিনে ডুবে থাকা
একটি মৃত্যুর ভেতর