তৌহীদা ইয়াকুব
বিরোধ
যা আছে সম্মুখে
তার সাথে বিরোধ অবিরত।
তবু কেন সুকোমল পাপড়ির ভাষা পড়ি
ভাজ খোলা বাদামী মলাটে?
তবু কেন রৌদ্র তাপে খুঁজি
বসন্ত প্রবণ যাবতীয় নিমেষ ??
অসুখ
না পাওয়া ইচ্ছের রং
ফিকে হয়ে আসে
বৃষ্টি নুপুর বাজে সম্মোহনে ।
ইচ্ছে হয় এলোমেলো হই অবেলায়
গুপ্ত খতচ্ছাপে জ্বলে ঘাতক সময়।
ভিন্নতা এবং আমার অন্তরাল
সব কথা গুলো কেমন করে যেন অন্য
গ্রহের অর্থ নিয়ে আসে। উড়াল ডানা
আড়াল পালকে পাকেপ্রকারে বয়ে নিয়ে
চুমু খায় প্রকট জীবন ।
এলোমেলো পথের বাতাস সাথে নেয়
ধূলিকণা, রোদের
গন্ধ , বৃষ্টির বুদবুদ আর
প্রতিটি শ্বাসের শোভা সবুজ
বিজ্ঞান।
দরোজার ওপাশে পৃথক গল্প থাকে।
কোন ঝড় রোদ আবার কোন ঝড় জলের
গন্ধ আনে।
রোদের গন্ধে ফুল কিংবা জলের গন্ধে
মাটির সুবাস কেউ কেউ বুঝে নেয়
বলেই আলো ছুঁয়ে যায় কিছু সুখী
বন্দর ।
সবার সাথে ইচ্ছে মত মিলিয়ে রেখেছ
ধুন
আথচ নিজেস্ব সুরে সাজিয়েছিলাম আমার
অন্তরাল।
একটা উজ্জ্বল বিকেলের নিমিত্তে
কতটা গরল গিলে নিয়ে কঠিন হয়েছ
তার কিছুমাত্র আমি জানি।
নিদ্রাহীন কান্তির ছায়া তুমিও
দেখেছ
আমার আঙিনা জুড়ে।
কখনও সখনও আমরা কফি শপে বসি
একটা উজ্জ্বল বিকেল
প্রভুত নিসর্গ খুলে দিয়ে সঙ্গত
সুরে গায়
আয় তব সহচরি ...
আমাদের অমলিন অর্ধশত
বালিকা বেলা ...
কিছু সময়কে আমরা ভুলে থাকি বা
থাকতে চাই
আবার কখনও কিছু সময়কে সযতনে মনে
রাখি।
ভুলে থাকি সুখী হবো বলে
মনেও রাখি একি কারনে ।
সাংসারিক চুপকথা
সম্ভাব্য ভ্রান্তির আগামী
লুনেটিক কবিতা।
তুমি বললে , সুখ
ও আনন্দ ।
আমার জানাই ছিল না
কিভাবে স্বপ্ন দেখে মুছে দিতে হয়
ব্যক্তিগত স্বস্তির গ্রাম্যতা।
তুমি চাও মানে সবটুকু চাইলেই
পরিনাম ভরে দেয় যৌথ-খামার।
হা আর না মুলত পক্ষ/বিপক্ষ।
এসবের বাইরে চলে গেছে যা
কেউ কি তার খবর পেলে ??
সেই যেখানে বিসর্জনের ধূম,
আয়োজন ভিড়, সমবেত
সুর ??
হিম-ঝড় প্রান্তর উড়ে আসে।
আঙিনা জুড়ে পাতা-ঝরা দিন খেলা করে।
নিসর্গের কাছে এসে কোলাহল থেমে
যায়।
যাবতীয় মোহঘোর দু' চোখে
ঢেলে
চুপকথারা বিবাগী সুরের কাছে
থিতু হয়ে বসে থাকে।