টিপলু বসু
তা
তা দেওয়ার মতো অক্লান্ত ধৈর্য
মনের তলায় সাজানো ডিমের স্তর
তীক্ষ্ণ চঞ্চু দিয়ে গুনে রাখছি
প্রতিদিন
সময়ের পালকের ওম্ নামছে
কুসুমের চোখ দেখতে পাচ্ছে
ঘেরাটোপের বাইরে শত্রুরা শান্
দিচ্ছে দাঁত ও নখে
ঝরে পড়ছে অমলতাস --- বিষন্ন হলুদ !
অবৈধ
অবৈধ ইচ্ছে কিছু
রেখেছি তোমার কাছে আন্তরিক
খুলে দাও গোটানো আস্তিন
আর কোনো নিষ্ঠুরতা নয়
হৃদয়ে নিয়ে এসো ইউথানাসিয়া ---
যন্ত্রনাহীন মৃত্যু-ওষধি
জোয়ারর অন্তিম টানে
ভেসে যাবো মৃত্যু অবধি !
বিপর্যয়
সুন্দরবন থেকে মধুপের দল
মধুসংগ্রহের শেষে উড়ে যায়
পৃথিবীর অন্যতম কৃষিবিদ্যালয়ে
টিউলিপ ফুলের মধু
প্রয়োজন ছিল যার
সে গিয়েছে চিনার-গাছের দেশে
আমার পার্বত্য-দেশে
কমলাফুলের মধু ওড়ে কুয়াশায়, মেঘে;
যাবতীয় মধুভান্ডগুলি
একত্র করেছে যারা
নিজ নিজ সংগ্রহশালায়
সতর্কবার্তায় তারা জেনেছে সেদিন
বিষাক্ত হুলের আঘাতে
ঘটে যেতে পারে যে-কোনো বিপর্যয় ।
নাম
নামের ভিতর বিন্যস্ত অক্ষর
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আমি বিভিন্ন হই
সংবাদের সন্দিহান কলমের কালি
ধুলো ঝেড়ে তুলে আনে নাম-ঠিকানা
নামের সংযোগ থেকে ঠিকানার
গ্রহান্তর ঘটে
ফেরোমন ছড়াতে ছড়াতে নামগুলি
পিছুডাকে
নামের ডানায় কিছু রঙিন পালক যখন
গ্লাইডারে গা-ভাসিয়ে দিতে দিতে
বাতাসের আত্মীয়তা অনুভব করি
চেনা বাতাসের কাছে বহু ঋণ রেখে
চলে যাই বদনাম কুড়াতে কুড়াতে
নির্ধারিত শুঁড়িখানার দিকে।
দেশান্তর
দেশ ছেড়ে চলে গেছে পাখির দঙ্গল
যে সব বৃক্ষের ঋণ ছিল নদীর কাছে
তারা আজো কায়ক্লেশে বেঁচে আছে
প্রবাসী পাখিদের স্মৃতির ভিতর ।
একদিন যারা উড়ে গিয়েছিল
বঙ্গভুমির প্রান্ত অতিক্রম করে
আজো তারা গান গায় বাংলাভাষায়
ঠোঁটে ঝুলে থাকে পরিচিত অক্ষরমালা
আজো তারা একে অপরকে
“শুভ জন্মদিন” বলে শুভেচ্ছা জানায় ।