রাবেয়া রাহীম
১)
থামার জন্য কোন সতর্ক বানী ছিলনা
কোথায় থামতে হয় জানা ছিলনা
কতটা কাছে এলে একাকীত্বের শ্বাস
গুনে
পাঁজরের টুকরোয় চিতা সাজাতে হয়
বলে দিয়ে গেলে না--
তাই চিতায় প্রলম্বিত সময় দীর্ঘ হয়ে
জীবনের সীমানা পেরিয়ে যায়-
সত্যিই তুমি আর ফিরবেনা !!
২)
উত্তরীয় মেঘের আনাগোনায় এখন আর মন
খারাপ হয় না ।
বেশুমার আকাঙ্খায় পুরনো স্বপ্ন
বোনা বিকেলে
বুকের ভেতর কিছু ধুপশিখা জ্বলতে দেখি ।
৩)
কিছু অদৃশ্য কাঁটাতার আটকে
দিয়েছিলো অনুভুতিকে
তাই , সন্ন্যাস,
সংসার কোনোটাই হলো না আমার,
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ তাকিয়ে দেখি,
নবঅন্ধকার তাতে বাঁধা হয় না আর!
অপ্রাপ্তির তালিকায় সাজিয়েছি
কাংখিত স্বপ্নগুলো
তবু কেন তোমাকে ছোবার অকারন বায়না
ধরি-
হায়! এরই নাম যে জীবন !!
৪)
হাহাকার দেখতে চাইনি--চাইনি শূন্য
হতে
চেয়েছিলাম কিছু সরব কোলাহল,
কথা নিয়েছিলে শূন্যতারা ছুটি নেবে
অথচ কথা রাখেনি কেউ !!
৫)
বসে ভাবি চুপচাপ প্রতিদিন —
হয়তো কোথাও একইভাবে বয়ে যাচ্ছে
মৃদুমন্দ বাতাস ,
ভেসে যাচ্ছে মেঘ তোমার শহরেও ;
কোন এক বারান্দার দড়িতে ক্লিপে
আটকানো
তোমার গায়ের গন্ধ মাখানো হাফ হাতা
সাদা টি শার্ট;
আর এখানে পুড়ে যাচ্ছি আমি
তোমার গোপন-গভীর প্রণয়ের তাপে ।।
বসে ভাবি চুপচাপ প্রতিক্ষণ —
কি করে বেয়াড়া স্বপ্নগুলো বাড়ন্ত
হয়ে উঠে
উঁচু দালানের কার্নিশ আর কনক্রিটের
দেয়াল বেয়ে;
কিভাবে আবেগের জোয়ারে-পিছুটান যায়
ভেসে;
কতবার তোমার চিবুক স্পর্শ করি কল্পনায়-হাত
ধরি স্বপ্নে;
সবকিছু ছাপিয়ে তোমার মুখ--স্বস্তি
আনে মনে ।।
হঠাত যেন নিশুতি রাতের শব্দহীনতায়
সম্বিত ফিরে পাই
পাপপুণ্যের উষ্ণতায় হাতড়ে বেড়াই
অবোধের মত
সব শেষ যা বুঝতে পারি বহুদূরের
মানুষ তুমি- বহুদূরের আমি-
আর সেটা সহজে মেনে নিতে গিয়ে ভেঙে
যাই,
নিজেকে জোড়া লাগাই, আবার
ভেঙে ..!!