দেবযানী বসু
গুহা মানুষ মরে না
আশ্বিনের সিনসিনারি থেকে ধর্ষণের
বাকি রক্ত চেটে নিচ্ছে কুকুর। গোয়ালবাল ও বালাদের জননী বেঁচে আছে। স্পর্ধার আগুনে
তোরা জল দে এসে। বাঘনখ পরতে বাঘরা লজ্জা পেল হোগলা বনে। ইস্টিশন লজ্জা পেল আগামী
কুয়াশা দেখে। পাতায় পাতায় এতো শিশির দমবন্ধ তাদের। কারা এসে পচা বীর্যে ধুয়ে
দেবে পৃথিবীর বয়সিনী সকল ইস্টিশন। ঐ শরীর তুলে নিয়ে গেছে মাদাম তুসোর ভবন।
পাঁচশো ডিভাইডেড বাই পাঁচশো
পঞ্চসায়রে স্নান করে উঠলো অলিভ
ডাঁটা। পদ্মযোনির পাঁপড়িতে ঠিকানা লেখা গেল না। জল ভেবে বাজের লালা গিললাম। এখানে
ছাড়পত্র পড়ে আছে ঝিঁঝিঁপোকার সমুদ্র যাত্রার। হাজারটা অপশব্দের তীব্রতায়
রস ও রাগ সোজা পথ হারালো। পানিফলের দৌত্যে বিশ্বাস করে জলকলিরা লকলকিয়ে
উঠেছে। শরত কি গ্যাস উৎপাদন করবে রেললাইন বরাবর কাকের প্রহরা থাকবে কিনা...
মুষড়ে পড়ছে প্রেম অসভ্যতার অভাবে।
শিবাঞ্জন
আশ্বিনের স্থলকমল দশ নং পানিট্যাঙ্কির
ধারে। সাধু ভাষার দাঁড়ি পরে মঞ্চে
লাফালাফি।বুক বরাবর আবেদন শীতল বোঁটায়। কিছুটা স্বস্তিক শিউলির নিয়মিত কমলা
হিমোগ্লোবিন। শ্বাসাঘাতে বাজা সাইরেন দরজার ওপাশে। নীরস বক্তৃতা শোনে। মাটির হাড়ি
পাতিল আর রুদ্রসাগর ডাস্টবিনে ফেলা প্রেম ঘরে আনে। লক্ষ কোটি চুমু সাউন্ডবক্স পরা পা পছন্দ করেছেন। চোখে শিবাঞ্জন
সুর্মা আর কি বলি...
আছাড় খেয়েও ফিরে আসে
নুন জারানো শুকনো চামড়ার পরকীয়া
হঠাৎ ই এম বাইপাসে উড়ে পড়ে। আশ্বিনের পুরোনো টেবিল ক্যালন্ডারে মালসাভোগের দাগ।
বাকিটা ড্রয়ারে বাউল চাঁদের ফেসপ্যাক। উঠোনে খেলছে বেদম বন্যার নিমাই-
বিষ্ণুপ্রিয়া কবিতা। পিঠ মালিশ করে কুড়ি চাকার ট্রাক। চিরেতা ভেজা গ্লাসে পড়ে
চোখ টেপাটিপি আমোদ। দুধ খেলো দুধে গড়াগড়ি খেলো বিড়াল ষড়যন্ত্রে মরল
বিড়ালনী।আছাড় খেয়ে মরলেও ফিরে আসে সে।
ঢোলশরত
সম্পর্ক শিরোনাম নিয়ে সম্পর্ক
বেঁচে। ফুল পাতারা অভিমানে ভোগে। যে না ভুগল সে প্রজাপতি হলো না -- 'নয়ন
ভুলানো এলে'। মৃত্যুর পর কবর
খোঁড়া কুকুর আর মনের মানুষ একই কথা। এরপরও ঘিএর শিশিতে ভেজানো চোখ। ক্যাডবেরি ও
চুম্বনের দূরত্ব কাঁটাচামচরাই খুন করে গেছে। আমাদের রোগা সেতুরা কোমায় যেতে রাজি।
একদল দীক্ষিত অনুকবিতা বিজনে কৌপীন খুলে দিল। ওরাই চৌরেখাবতী। কেউ হাসল মুচকি কেউ মুড়কি।