মন্দিরা ঘোষ
তোমার অলৌকিকতায়
১.
তোমার অবস্থানটি অন্ধকার
আকাশে কালপুরুষের মত
কোন চলাচল নেই
মেলামেশায় গা ঘেঁসাঘেঁসি নেই
দুটি রেল স্টেশন যেভাবে
লম্বা লাইনে দিয়ে জোড়া
দুরত্বের সুচক বজায় রেখে
জুড়ে থাকো কোথাও
তুমুল চাহিদার বিনিময়ে
২.
সৌজন্যের হাসি তোমার ঠোঁটে
আলোড়ন গুলি থমকে আছে
সিঁড়ির ধাপে
চোখাচোখি হতেই আলোয়
ভরে গেল চারপাশ
তুমি টেরই পেলে না সেখানে
নিমেষেই কত উৎসব হল
৩.
অনেক দূর থেকে ভিড়ের মধ্যেও
তোমার বাড়িয়ে দেওয়া
স্পর্শ টের পাচ্ছি
আর খোলা দরজা দিয়ে
ঢুকে পড়ছে কিছু পরিযায়ী কথা
আর রঙচঙে ক্লাউন
৪.
তোমার না দেখার ভান
পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার
আলোড়নের ঝড়
আবর্তিত হতে হতে আবর্তনের
কেন্দ্র হয়ে উঠছি
পরিধিরেখা চাঁপা ফুলে
সেজে উঠছে
৫.
সমস্ত ঝড় বিদ্যুৎ নিয়ে
উপত্যকা সেজে উঠলে
মেঘ সরিয়ে একমুঠো রোদ্দুর
ছড়িয়ে দিলে কেমন
সমস্ত প্রশ্নচিহ্নগুলি ধীরে ধীরে
হলুদ গোলাপের ভূমিকা
হয়ে উঠছে
৬.
রোদের ডানার আদরে
যে আলোর সকাল সেখানে
ফুলের নরম বিন্যাস
ছেয়ে থাকা ছায়ায়
গভীরের কোন অসুখ
রয়ে গেল শোকছিন্ন পাতায়
অবশিষ্ট বেঁচে ওঠাগুলি
নিবিড় প্রশ্রয়ে তোমার
সব শব্দসাজ খুলে রেখে
কিছু জুড়োনো সকালের কথা
কিছু রাত্রিগন্ধে ডুবে থাকা ঘোর
শান্ত হয়ে রইল সব গায়ে গায়ে
শুরু ও শেষের দ্যোতনায়
সাজানো থাকল একগুচ্ছ
সাদ জারবেরার মৌলিকতা