বিশ্বজিৎ দেব
পুকুর
গায়ে পড়া জলের প্রসঙ্গ গুলি
সন্ধ্যায় নেমে আসে নিঝুম পুকুরে
শান বাঁধানো ঘাঁটে খুলে রাখে তাদের
অতীতের রূপের অহঙ্কার, শঙ্খগুঁড়ো
তারাদের শীষ্ , গহনার
অন্ত্যমিল ছুঁড়ে
মাছ ডাকে
তারপর একে একে কথাগুলো
নিশ্চুপ হয় যায়, মাছকন্যারাও
ফিরে যায় মুগ্ধতা শেষ হলে!
জলতত্ত্ব
জলতত্ত্ব ঘেঁটে এখানেই
পাওয়া গেছে তাঁর নায়ের বাদাম
বিয়োগের ব্যথা,পাঁকে
পুঁতে রাখা
ব্যর্থ গাজির নাম..
সেই থেকে তীরে বাঁধা
বৈদ্যুতিন ভয়ের সংকেতগুলি
জুড়ে দেওয়া আগাম আর্তস্বর
ওয়াচ টাওয়ারের আলো ঘেরা
নব বিবাহিতদের নৌকোর সারি
নিজেদের মেরুপ্রবনতা থেকে এভাবেই
অসফল কাঠগুলি শুধু ভেসে উঠেছিল
ভোরে... লাইফ জ্যাকেটে মুড়ে
বুকে পিঠে সব অপরাধবোধ ....
বিন্দুতম
তোমার আমার বিচ্ছেদের পাশে
বুক পেতে আছে গ্রামের একমাত্র
ইট সলিং এর পথ, দেহ
ফেলে রেখে
এ পথেই খোলসেরা যাবে, যাবে
বকুল পাড়ার নদী....বাপের গরিব
উঠোনে
এঁকে রাখা লক্ষ্মীর পা, নাব্যতার
টানে
সেও যাবে পরিসর ফেলে....
আমাদের মিলিত বিন্দুগুলিও জানে
জানে পরস্পর শুখার ফাটল
কীটনাশকের ঘ্রাণ থেকে দুরে
বকেয়ার মাঠ জুড়ে এখানেই
ঝরে পড়ে তারাদের কথা!
গ্রামের শেষ প্রান্তে
গ্রামের শেষ প্রান্তে এসে জড়ো
হচ্ছে
চেরাইয়ের কাঠ,
নিগমের বৈদ্যুতিন তরঙ্গেরা,
বুকে পিঠে মরনোত্তর কীটনাশকের
ঘ্রাণ
গোটা শুখা মরশুম এখান থেকেই শুরু
নাক গলানো শহর,
ছেলে ফিরে আসবে বলে নিঃশেষিত
চাকা.....
স্তুপিকৃত বর্গফল শেষে
তারা ফিরে যাচ্ছে বিদীর্ণ
অরন্যকান্ডের দিকে,
গ্রামের শেষ প্রান্তে যেখানে
জড়ো হচ্ছে করাতের শান!
তোমাকে নিয়ে
তোমাকে নিয়েই যতো দুর্গমতা
অসতর্ক অ্যামবুশ পয়েন্ট
পাতার আড়ালে ঢেকে রাখা
এক ফুঁয়ে নিভে যাওয়া গ্রাম
তোমাকে নিয়েই তার পাখিদের
ফাঁদ, অনতিদূরেই
অপহরনের ছল!