রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

রীনা তালুকদার


রীনা তালুকদার

দিও ভালোবাসা

সব সময় কী ভালোবাসা
এক মাপে যায় দেয়া মেপে
উতল হাওয়া ভিড়ে গেলে ধারে

অতি সুখে পারিজাতে হাসা
আড়ম্বরে আভিজাত্য ঠোঁটে চেপে
মহৎ হৃদয় ঢের দিতে পারে।






সুখের মানুষ

হয়ত তুমি ভাবছো বন্ধু বসে
নিখোঁজ হলো জীবন মায়ার মানুষ
দীর্ঘ সময় নেটওয়ার্কের বাইরে

কেমনে থাকো ভাবনাহীন বশে
আন্তর্জালে হৃদয় ঘরে ওড়ে ফানুস
ও সুখ তোমাকে কেমন করে পাইরে।






খুঁজে যাই

কত কত মুখেরা চেনা অচেনা
আলো আঁধারির জানলায়
দূরে ওই ... পথের পাতার ফাঁকে

কিশোর কালের বিদ্যার্থী মুখ একটাও না
হঠাৎই ভেসে ওঠে তীক্ষè ভাবনায়
স্মৃতির আয়নায় খুঁজে ফিরছি যাকে

সে তো হৃদয়ে লুপ্ত না
কলেজে চলতি ক্লাসে অদেখায়
ভাঁজ কাগজের ঢিল; পই পই খুঁজি তাকে।






সুসম্পর্ক

নির্ঘুম বেহায়া বঞ্চিত রাত ফাঁক ফোকরে যায়
বিদ্যুৎ জ্বলকে ওঠে সদর রাস্তার
ল্যাম্পপোষ্টে

বার্তা বিনিময় হয় না আগের সুরে
অপেক্ষমান সময় ট্রেন ধরবার তাড়া নেই
নীরবতা নির্বিকার

বোগেনভিলিয়া যখন ছিলো গোলাপ
সুগন্ধে মহুয়া মাতাল দখিনের জানালা
প্রজাপতি হাসি

পাতা বাহারের রূপও গোলাপী
রঙ হারায় সবুজের সমাবেশে
তারপর একদিন .. .

নিত্য ঘটির জল আদরে অনাদরে
থাকনা না হলেও নেইতো অসুবিধা
বিদ্যুৎ পৃষ্ট মানুষ

এভাবেই টিকে থাকে সব সুসম্পর্ক
সোনামুখী ধানের সুবজ মাঠে
বারোমাসী নিয়মে . . .।







ছুটির গল্প

রোজ সন্ধ্যায় ছুটির গল্প শুনি
কখনো দুপুরেও ইচ্ছে করলে
অনিচ্ছা নেই গল্পের

কথারা বড় হতে থাকে হামেশা
লেজবিহীন যেতে যেতে পথও দীর্ঘ
বিরাম ছাড়া চলছে

শীতের আগুন জড়িয়ে সারা গা
শরীরের শিরায় উনুন জ্বেলে রাখা
নেগেটিভ পজেটিভ স্পার্ক

গল্পের শেষ রেশ নেই এখনো
এই ভাবনায় অধীর ভাবুক
ছুটি পেলে কী গল্পেরা থেমে যাবে ?