শেখ সামসুল হক
অভাব বিষয়ক
অভাব কেবলি অভাব ছুঁইছে বুকের আঁচল
দুঃখের ভেতর হাতড়ে বেড়ায় সুখের
নিবাস
দিন যায় রাত যায় ভোগ যায় চোখ যায়
যায়
হাত যায় পাও যায় শোনা যায় শুধু হায়
হায়
কেবলি অভাব দারুণ খুশীর ফোয়ারা
ছুটিয়ে
দেখতে দেখতে কাছে এসে পড়ে কোন কথা
নেই
একটা কথার হিসাব মেলাতে আগ্রহ
দেখায়
কি কথা যে কথা হৃদয় অতলে হেসে হয়
খুন
সময় নামক ডানার ঝাপটায় পরাজিত হয়ে
আজ বেসামাল সব কিছু বাদ নেই কোন
কিছু।
আসর ছেড়ে
অন্ধকার ছেড়ে আলোর ভুবনে এসে
আবার কি সেই কাক কালো দুনিয়ার
মানুষ হবার দুর্ভাগ্য লাভ করছি
নাকি আর একবার ভুলে থাকা গান
এক সাগর রক্তের বিনিময় পথ
খুঁজে নিতে হবে যখন খুশী তখন
কানামাছি খেলতে খেলতে অর্ধযুগ
নিভিয়ে অনেক যাদুটোনা ঝাড়ফুক
ঘরে বাইরে সংগোপনে দেখা হলো
তারপরের খবরটা যে ভাল নয়
ডান বাম ককটেল আর কোন কিছু
বাকী নেই এবার ঠিক থামতে হবে
কে কি বলো এবার নামতে হবে তাই
পেছনে তাকিয়ে দেখুন কেউ কি আছে
আপনার কেউ আজ আর বেঁচে নেই
এবার তাহলে আসন ছেড়ে দাঁড়ান।
অসমাপ্ত কবিতা
একটা কবিতা খসড়া করে রেখেছি সেই
কবে
সময় হয় না ওটাকে ঠিক করার
কত কাজ সকাল থেকে মধ্যরাত অব্দি
করে যাচ্ছি সময় পাইনে খসড়া কবিতাটিকে
নিয়ে বসার
আজ বসি কাল বসি তবু বসাটা হয় না
এমনি করেই চারটি দশক চলে গেছে
আর যাবার বাকিইবা আছে কদিন
ফিরে যাবার সময় এখন খুবই কাছে
খসড়া কবিতা খসড়া রেখেই চলে যেতে
হবে
দুঃখ নেই এতে দুঃখ নেই
খসড়া তো রেখে যেতে পেরেছি।
যাই ফিরে যাই
যাই ফিরে যাই জানি না কোথায় কোন
দিকে
দূরদেশ বন বনানী থাক পড়ে থাক
গোপীবাগ আজিমপুর ফকিরাপুল ছেড়ে
তারপর চামেলীবাগ সিদ্ধেশ্বরীর কথা
মনে নেই কত যে দূর শাহজাহানপুর
থেকে সেই ফফিরাপুল এসে আবার দেখি
অবিকল সবই আছে নেই জীবন নদী
রাগে ক্ষোভে আরামবাগ এই আরামবাগ
আছে আমি আছি জানি না কোথায় কোন
দিকে
যাই ফিরে যাই শেকড়ে মেছের শাহ শুয়ে
আছে যে মাটিতে শায়খ ফরিদ নামে কোন
লোক ছিল কিনা যেখানে সেখানে যেতে
চাই
যাওয়া হবে কি হবে না জানি না এই
আমি
সেই আমি হবো শপথ আমার বললাম
যাই ফিরে যাই ভুবনেশ্বরের তীরে যাই
মনোবনহীন স্বাগত বনানী সূর্যোদয়।