ঝুমা মল্লিক
পথ
আমরা দুজন,এ
কই পথে সন্ধি মোদের
তারপর কত কত প্রশ্নের শুদ্ধতা ।
কত কথা কত উপকথার বাসভূমি
বিষাদের সুর পথে, পথহারা
তুমি কেন?
আমি আলোর খোঁজে বারে বারে পথেই।
কত কত মেঘের আনাগোনা বুকের মাঝে
বৃষ্টি আসে যখনতখন, ভিজে
আঁচল আমার।
অনুভূতির চাদরে বেঁধেছি সখ্যতা
আঁধারে কেটেছে কতকাল, তারপরই
দুহাতে আলো খুঁজি
মায়াবী আলোতে ভেসে যায় আমার কোল
পরমতৃপ্তি খুঁজি বারেবারেই ওর চোখে
তারপরেই পরমাত্মার খোঁজ।
অসুখ
শত শত বিশ্বাস হুমকি দিয়েছে ঝড়ের
রাতে
দ্বন্দ্বেরা সৃষ্টি করেছে ভূমিকম্প
যখনতখন
তোমার বুকের ক্ষতে আজ দারুণ জ্বর।
আমি দুঃখ নদী জয় করেছি বারংবার
আমার চোখ বিজ্ঞাপন খোঁজে
এক টুকরো রোদ নামে বুকের খাঁচায়।
আমার পথে খেলা করে দূর্বার দল
গুছিয়ে রেখেছি পদ্মের দানি,তবুও
বুকের পাঁজরে অসুখ নামে রোজ রোজ।
তুমি আঘাত করেছো,যন্ত্রের
কি বা দোষ!
হাতের তালুতে অর্ধমৃত সুখ
আমার অসুখ পরিণত আজ।
তোমার জমিতে বকুল কাঁদে বারেবারেই
আমি তোমায় এক দীঘি দেব ভেবেছি,
জল বইতে হবে তোমায় শুধু।
তোমাকে স্পর্শ করার স্পর্ধা আমার
নেই,তবে
বইতে পারি এক অসুখ তোমার জন্য।
ভেজা শরৎ
ঝলসানো ভাদ্র,অবসান
হল আশ্বিনের রাতে।
তারপর ই দক্ষিণে কালো মেঘের
আনাগোনা
উত্তরে মৃদু বাতাসের আগমন, দূরে
আগমনীর সুর
হঠাৎ বৃষ্টি এল, এখনও
অবিরাম!
মাটি ভিজছে,বারেবারে
ভিজছে।
ভেজা ঘাসে ভেসে আসে আদরের সুখ।
পলাশ ভিজছে,পলাশের
রঙে শুদ্ধতা
কাশ ফুলের দলে আজ যমুনা
বৃষ্টি এলো, এলোমেলো
হল শহরের সুখ ।
একলা দুপুর, পায়ের
নুপুর ঝলমলে আজ
বৃষ্টিতে ভিজে গেছে দোয়েল কোয়েল।
ওদের বুকের যন্ত্রণাতে জলচ্ছাস
আমার মেঘলা আকাশ তোমাকে দিলাম
ঝোড়ো বাতাস বইছে আমার দেশে,তাতে
কি?
তোমাকে দিতে পারি শান্তির শ্বাস
বায়ু
শরীর পুড়ছে তোমার, তাতে
কি?
জলপট্টি সাজিয়ে দেব তোমার বুকে
বৃষ্টি এলো,আবারও
বৃষ্টি এলো।
ভেজা শরৎ, আগমনীর
সুর দূর বহুদূর।
শহুরে প্রেম
আমার শহরে আমি একা আছি আজও
ভিড় আরও ভিড়ে শহর ভেসে যায় রোজ রোজ।
দূরে হতে ছুটে আসে কত শত মানুষের
মাথা
পেটের টানে শহরে আজও হানাহানি
ভোরের বেলা কাগজওয়ালা খবরের বাঁকে
সকাল হলেই চাওয়ালা চায়ের ডাকে ।
একলা দুপুর পথের ধারে
প্রেমিক প্রেমিকা গাছের ভাঁজে সুখ
খোঁজে
বিকেল হলে বাড়ির খোঁজ ,তারপর
শহর সাজে
রাতের আলো ঝলমলে শহর আলো খোঁজে
আলোর শহরে আলো খোঁজে ওরা ও
পথের ধারে শরীর সাজিয়ে ওরা কারা?
রাত শেষে ভোর আসবে আবারও
পথ বেয়ে হেঁটে চলি আমি দূরে বহুদূরে
ঠিকানা নেই কাছে তবুও পথেই বেশ
শহর জানে আমার শূন্যতা
আমি খুঁজে পাই শহরের পূর্ণতা।
অকবিতা
যন্ত্রণার জীবনে শব্দেরা হামাগুড়ি
দেয়
সময়ের খেলা চলছে অবিরাম।
ভাজ ভাঙা শাড়িতে আতরের স্বাদ
শরীর আর মনের দ্বন্দ্বে আমি একা হই
দিন ফাঁকি দেয়, রাত
বাসি হয়
তবুও আমার অসুখ জেগে আজও
দারুন রোদে পোড়া মাটির গন্ধ
মিশেছে।
পথে আজ কেউ নেই,একফালি
শূন্যতা
শরীরে বাসা বাঁধে নতুন জ্বর
বারে বারে ছন্দের হাততালি শুনতে
পাই।
তবুও গুছিয়ে নিতে পারি কই?
সময় বইছে সহজেই
আমি চেয়ে আছি তোমার চোখে
কবিতা তুমি বেঁচে আছো, তা
আমি জানি।