রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

হাসিদা মুন


হাসিদা মুন

সে তোমার

অনু পরমাণুতে বিস্তৃত হও মন
এবং বুঝে দেখো সমস্ত জীবনের বর্ণীল প্রচ্ছদ
চেয়ে দেখো ইন্দ্রিয়ের পিছনের আগামীকাল
খুব সুন্দর ডিসেন্সিটাইজেশান রিএক্টিভিটি দ্যাখো
দেখে দেখে বেশ কিছুটা খেয়াল  রাখো ...  

যে প্রশ্ন মনে আসে ,তাকে যদি ভালো লাগে
সব বুঝাবুঝি এই এখনই মেলে ধরে
নির্দিষ্টকে আসক্ত করো ।
ভুলে যেয়ো না তুমিই 'স্থান'
কোন  স্থানের জন্য  নও  তুমি
সহজে হাতড়ে দেখো জীবনের যে মোড়কে তুমি
সে মোড়ক হচ্ছে দেহ
যা কিনা বদলে যাচ্ছে ক্রমাগত
সেও কিন্তু জীবন না ,
জীবন  সেতো  একই রকম  আদি - অন্ত ,
এক প্রকারেরই  থেকে যায়
ভাবনা যতটা জাগায় বেঁচে বর্তে থাকাকে
ততোটাই ভালো নিজেকে চিনে নিতে পারো  ...

সুন্দর যা কিছু বেঁচে থাকাকে ত্বরান্বিত করে
গভীর হতে গভীরে অভ্যাসগত ভাবে
হয়ত সে অজানার পথে পথে হাঁটে, 
সেতো তোমার হাত ধরে তোমায়
বিস্তীর্ণ  খোলা মাঠে  নামায় -
জিতিয়ে দিতে - খেলার পাতানো খেলায় ।
হারলেই মনে ব্যথা বাড়ে, 
যা কিনা বানায় অসুখী পরিচয়ে
এর সাথে সাথে কিছু স্বীকৃত  সহ্যও শেখায় ...

সম্পূর্ণ তুমিই এখন একটা 'বিশেষ তুমি' হয়ে যাও
নিজস্ব পরিচয়ে আবিস্কার করে নাও তোমাকেই ,
জৈবিক অনুভবে পুনঃ পুনঃ অনুভূত হও
আরো কিছুটা জীবিত হলেই জীবন্ত থাকা হলো ।
চলো সত্য দেখবে চলো
সময় হচ্ছে দেখার
হারবার কিংবা হারাবার নয় 
রপ্ত করো নিজেকে নতুন কোন ধারণায়
ধারিয়ে যাও সন্তর্পণে সরে সরে যাওয়া দৃশ্যকে ...

কি এটা ? হুম এইতো - বর্তমানের তুমি ,
কতোদিন হলো বলোতো তোমার অভিজ্ঞতার
কতোটাই বা বুঝেছো বিভিন্নতার ?
দেখেছো কি চতুর্দিকের সব দিক বদলায় ?
শীত গ্রীষ্মে
সব সমগ্রে
ভালো মন্দে
উঁচু নিচুতে
যা মনে করা হয়
যা ভুলে যাওয়া যায়
আগন্তক তো এখানের সব কিছুই
প্রতি মুহূর্তে আসে - যায়
প্রকৃতির ছুটে যাওয়া স্রোতে ...

শাখার ভিতরের যে কুঁড়ি
তার সুরভী শ্রবণের শব্দাবলী শুনেছো ?
বাতাসের আর্তনাদে  ঘূর্ণি
সবুজ প্রান্তরে ঝিমভাব
নদীর পানিতে কলঙ্ক ধোয়া তিক্ততার করুণ কাহিনী ?
ফসলের খেতে শুঁয়োপোকা বধের কাতর ধ্বনি
তাহলেই বুঝে নিও - শুনছো......

এসব কিছু দেখা শোনার বেষ্টনীর কাছে থেকে
নিরেট উত্তর খুঁজে পাও-
এই যেমন 'আমি কে' এমন টাইপের প্রশ্নোত্তর ?
সেখানে থেকেও সেখানেই  তুমি নেই ...
যদি না তোমাকে শুনতে পেয়ে কেউ হাত ধরে টেনে তোলে
বুঝে নিও তুমিও তাঁর ' কেউ'
এটা বুদ্ধিমত্তার কিছু নয় ...
এ বোঝার জন্য দার্শনিকও হতে হয় না
থেকে যাচ্ছো কারো  কোথাও - এটাইতো সেই 'তুমি'
এবং যে ডেকে ডেকে টেনে তুলে জাগিয়ে দিচ্ছে,
 সে হচ্ছে - 'তোমার' .....
*





নৈকট্য

পথভোলা পথিকের বেশে বসেছিলো অন্ধকার
রাতের এক প্রান্তের কোল ঘেঁষে
হুতুম প্যাঁচার পদাঘাতে শোনা গেল ইঁদুরের আর্ত চিৎকার
লাইট পোষ্টটা বেঘুম রাতকে টিপস্ দিচ্ছিলো খুচরো কিছু আলো
ফুটপাতের ফাটলে একগুচ্ছ অনাবশ্যক সবুজ ঘাস
মাড়ানো আগাছা , যা কিনা দিনান্তের সাথে গজিয়ে ছিল

কিছুক্ষণ পর ইউটার্ন নেবে আজকের তারিখটা
বর্ণীল আয়েশি বিজ্ঞাপনের উন্মুক্ত বক্ষের নিয়ন রঙ  দ্যাখে
ক্ষণকাল থমকে থেকে আলতো ছুঁয়ে দিয়ে
ঠোঁটের ম্যাট লিপস্টিক ব্র্যান্ড বুঝে নিয়ে
শুধুমাত্র  রঙেই চুমু খেয়ে টার্নপাইকের রাস্তায় নেমে
বিদায়ের হাত নেড়ে চলে গেল

ব্যালকোনিতে দাঁড়ানো সহজ সরল অন্ধকার
সুখভাব আউড়ে শেষে স্মৃতিবুকে মুখ ঘষে
ন্যস্ত পাঁজর ফুঁড়ে আসা দীর্ঘশ্বাস ছুঁড়ে দিই তাকে
বিশাল আকাশ জোড়া ক্যানভাস বিছানো
খুবচেনা অবয়ব, ভাসা ভাসা থেকে স্পষ্ট করে তুলি
ফিরতি দৃষ্টিতে সেও আমাকে দেখে
বাইস্কোপ দেখার ভঙ্গীতে ঈষৎ নুয়ে
দুই হাতের তালু জড়ো করে অবাক চোখ মেলে

নিবন্ধন চাই , স্ব বন্ধন চাই - পুরো এই আমি
ও প্রিয় চেনামুখ ! 
তোমার ইচ্ছের হুইসেল - সংকেতময় হলে
সমস্ত আমাকেই দিয়ে দেবো, উচ্ছন্নে যাবো বলে,
দ্বৈত প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে রাত
আমার থেকে তোমার নৈকট্য যায় চলে ......

*





ডুবসাঁতার

বিশ্বাসের ফিসফিসানি শব্দটা হাত ধরে টেনে নিয়ে চললো
যেতে যেতে বললো, জীবনের জন্য ছোট্ট এইতো  পরিসর
তার মধ্যে আড়ি পাতা ফাঁদ
ধৈর্যের আত্মরক্ষার প্রহরী ,
কাছে আসার হাজার টা অজুহাত
বেহিসেবী হাতছানি
কি বিশেষ আয়োজন আগ্রহ  জীবন্ত থাকার
সাথে জোটে , আরেক যন্ত্রনা - শরীরতন্ত্র বোঝার...

বোধহয় ঠিকমত বোঝা যায় না নিরঙ্কুশ  সবটুকু
আরেকটা পাতা উল্টাতেই হয় সাগ্রহে,
জানো তো , সুপন্ডিত হতে হলে ব্যাকরণ জানতে হয়
দেহের ব্যাকরণ শুধুই ভুল হয়ে যায় -বারবার সবার....

ভাবো তো উড়োজাহাজ উড্ডীয়মান না হয় যখন আকাশে
আকাশ কি উড়বার আগ পিছ কিছু বোঝে ?
বুঝতে কি পারে কতটা উঁচুতে উড়ছে
কিংবা  নিচুতে আছড়ে পড়ছে !?
বোধ হয় না -
ফেরার হতে  ফের উড়োউড়ি চলে দূরত্ব মেপে  দেখার
শরীরতন্ত্র বুঝতেও এক জীবন কম্মকাবার ...

সবাই তো চায় ডুবুরীর বেশে দিয়ে যেতে ডুবসাঁতার
তবে জানতে চাই তা' কতবার ?
বলো , কতটা নিশ্চিত  পেলে
কতটা গভীরে হলে
কতটাই বা কাছে গেলে
কতটাই  ডুবলে
কতটা  সফল সঞ্চয়  মেলে  শরীরতন্ত্র  খোঁজার ...... ?!







বিমুগ্ধ জোছনা

চাঁদ তুমি চুপ করে থাকো
বিমুগ্ধ এ জোছনায়
আলোর প্রপাত কি বলে শুনে যাও
মৌনতার নেহানলে

প্রেম মেদুরতার বসন্ত উৎসবে
উড়ন্ত হৃদয় কথা হয়ে
কোন সুদুরে উড়ে যায়
আকাশের ডানা মেলে

ও চাঁদ , তুমি পাশে এসে বসো
বিস্মিত জোছনায়
আলোর প্রপাত চুইয়ে পড়ে গায়
উষ্ণতার দাবানলে

মুকুলিত আলোর সৃজনবৃক্ষে
শতাব্দীর কাক-জোছনায়
স্বপ্ন আচ্ছন্নতায় আঙিনা ভরে মায়া ছড়ায়
গাঙধোয়া কাঁপন তুলে

চাঁদ তুমি জোছনার ভারে দুবাহু ধরে
নিবিড় করে জোছনা ঢেকে নাও
আলোর প্রপাত সারা অঙ্গে বইয়ে দাও
শ্রান্তির আঁচল তলে

স্রোতে স্রোত মিশে যেতে চায়
নিশিজীবী মধুরতায়
মুহুর্মুহু নেশাটে আলিঙ্গনে
কাছে এসো কাছে, আরো কাছে -
এ কথা বলে বলে


 




মন পাখী

মন তুই রঙ্গিন পক্ষী বিশেষ
মানিস না বাঁধা
স্ব অধীন - পরিচিতি

জানিস না গন্তব্য
দেখিস না ফিরে
তোর আকাশের পরিমিতি .