মঞ্জিমা গাঙ্গুলী
প্রিয় মেঘ
নাম দিতে পারতাম অশোককুঁড়ি
ভাসালে ইচ্ছে কামরাঙা ভোর জল মুছে
দিত
কাজলের বেড়া টপকে সবুজ
ভেসে যেতে পারতো জল থমথমে উঠানে
প্রিয় মেঘ,
এসব কিছুই হোলো না কোথাও
কমপক্ষে একটি বাংলাদেশ এক হতে পারে
নি
মিছিলে মিছিলে বঙ্গবন্ধু এক হতে পারে
নি
কারণ আমরা এপার ওপার
এদেশ বিদেশ।
প্রিয় মেঘ,
আমাদের ভিতর এক দেশ দূরত্ব।
নোলক
নাকফুলের গন্ধ কেমন আছে
শরত বাতাস বিরল এমন অবাস্তব
কাশক্ষেত
সমুদ্রের ঢেউ জমেছে বিবর্ণ ওম
নদীতে
ঝড়ে ক্ষয়ে গেছে পাজামার চিরকুট
তবু তো এখনো ইচ্ছে করে ঘর হবে
আমাদের
তাই এখনো থালাভরে টিপ পাতি কপালে
তাই তো নাকে নোলক পরে নক্ষত্র
হাঁটছি।
নিমগ্ন
অনেক কিছুই অতল রেখে চলে যাবে
দিগন্ত
ভারি মিষ্টি একটা হাসি গাইবে গহর
জান
কফি কাপে চুমু ঠেকাবে চুলের গন্ধ
ঠিক এভাবেই একদিন তুমি হয়ে যাবে
মধ্যরাতের জাহাজের মাস্তুল
চিনে নিতে পারবে সীমান্ত ভাঙার
চেষ্টা
আমাকে খবর দেবে
এসো সই, তোমার
বাড়ির মতোই আছি জেগে
আলতা ঢেলে পা এগিয়ে যাব নিমগ্ন
বিতানে।
বাঁশিটা
হঠাৎ করেই বুকের ভিতর ঢুকে গেছে
বাঁশিটা
খুব আড়ি করলেও যাচ্ছে না সুর
ভুলের উপর স্থির থাকে তবে আগামী
ঠিকের উপর ঠিকরে পড়া আভা দেখে
বুঝেছি
সেদিন তোমার বাঁশি বেহাগে বেজেছে।
তারপরেতে বাঁশের সাঁকো ছাদসমান
কৃষ্ণ
পাতায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে রোদের সাথে
সুর নিয়ে কেঁপে উঠেছি এ পর্যন্ত
বহুবার।
আমৃত্যু বাঁশিটা জীবন টেনে নিলো।
রতনপুর
ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ঘিরে পুকুরপাড়ে
মধুমতী বয়
আলো জ্বলে টিনের চালে একটা ফিঙে
জোনাই এর কাছে লুকিয়ে ছিলে পালক
নিশি
ছুঁয়ে দিলে মন খারাপের সুতোর মতো
হারিয়ে গেছি ঘরটির পায়ে
ঘুঙুর বাজিয়ে হেঁটে বেড়াবো উঠোনে
শালুক ফুলের বাগান ভর্তি ভ্রমর
গাঁথবো
আমার ভালোবাসার নাম রতনপুর।