রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

ক্ষয়

সারা শরীরে দায়ভারের
       জলদাগ
মরচে পড়ে গেল সুষুম্নায়
চুলের শিকড়ে ছিন্নভিন্ন ঢেউ
করদ হয়েছে প্রাণ

কেউ দেখছে না
উপদ্রুত মাংস এলাকা
লবণের গরল

মরচে মুছে গেলে
এই অস্থিলোহায় ধাতু ক্ষীণ
শুধু মুহূর্ত ধারাপাত







ফিল

কি উপমা দিই
সমুদ্রপ্রতিম উশ্ম? সৌরসুভাষিত?
জানি না জানি না মহাশয়!

অবশেষে নিজের চামড়া কেটে  নিই
সামুদ্রিক উষ্মার লবণ দিই
ক্ষতকে উক্ত করে নিই
আত্মার ক্ষরণে।

আসলে রক্তাপ্লুত অবস্থা
আমাকে বিঘ্ন করেছিল
একদা।

এখনও করে।







শূন্য অঙ্ক

একটু অগণিত কথা হল
দুইয়ে দুইয়ে শূন্য অবকাশ
আমার ভেতরে এইমাত্র
অবদমিত হল উত্থিত কাশমেঘ

এই ধূপসন্ধ্যায় বিভ্রাট আত্মরতি
কিছু নিম্নবর্ণের জোনাকি নিভে গেল
চাঁদের ভাষায় কই আজ জোৎস্না সংলাপ
বড়ো অমানিশা চোখে ভেসে এল

গহীন আঁধারে প্রবীণ ইঁদুরের উল্লাস
ঘাড় গুঁজে দেখি কত সহজে কান্না এল

একটু অবিজ্ঞান হল আজ








কাক ও ঘুড়ি

অ্যান্টেনা থেকে একটি উড়ুঝুড়ু কাক
নেমে এসে
কা কা সঙ্গীত গাইছে।

ঘন ঘন চরিত্র বদলাচ্ছে ঘড়ি
তাকিয়ে আছে কাকটি
ঘোলাটে চোখে।

মিলিয়ে নিচ্ছে কতটা ফিকে হল
গাঢ় কালো
নিজের রঙে মেশাবে,
বাকীটা ডানায়।

প্রবল উৎসাহে উড়ে যাচ্ছে
মানবঘুড়ি ও কাক
যেখানে ইচ্ছা আকাশসীমা।

এই ঘুড়ি পর্বে মানুষেরই দায়ভার
কাক শুধু জানে কুৎসিৎ ঠোক্কর
লোভের গুড়ের সংখ্যাবিশেষ।

মানবঘুড়ির লেজে সতর্ক প্রহরা
কাকচরিত্র কতটা উড়ছে।








ব্যবচ্ছেদ

উড়ছে পাখিরা ডানার আলো
আনকোরা চোখ নিচে
আমরাও শিখেছি কিচির মিচির
সচল হট্টগোল

চঞ্চুতে কানাকানি গুল্মলতার গান
হাতে হাতে করমর্দন
ফেরাবে যদি ফেরাও
বন্ধুতা , নুড়ি পাথর

বয়সের ফিসফাস
অপ্রাপ্তির মেধা মৃত্তিকা