মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮

সম্পা পাল


সম্পা পাল

শ্রাবণের রোদ

শব্দটা কানে আসছে , শহরের বুকে নতুন ঢেউ ।
পুরোনো ছাদে নতুন রোদ
চড়াইয়ের পালকে উষ্ণ ছোঁয়া ।

বন‍্যার জল নেমে গেছে
মসজিদের ছাদে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল সে আজ কিছুটা বড়ো ।
বানভাসিরা এভাবেই বেঁচে উঠুক ।

কী কথা হয়েছিল সেদিন কানে কানে
বোঝা গেলোনা আজও , তবে তাতে উষ্ণতা ছিল ।
জীবনের পাওনাটা এখনও  শ্রাবণের রোদে ।

এসো একদিন আমার শহরে
আমার কাছেও নদী আছে ।
তবে আমার নদী বন‍্যা আনে না ।








ছায়া

পৃথিবীর পাতা জুড়ে নতুন নাম ।
অনেকগুলো শুভেচ্ছার ফুল এদিকে ওদিকে ছড়ানো ।

মেঝেতে নতুন লাল কার্পেট ।
ওখানে একটা নতুন স্বপ্ন ।
স্বপ্নটা কোনো একদিন বৃক্ষ হবে ।
আমাকে ছায়া দেবে , পৃথিবীকেও ছায়া দেবে ।
লতা আর গুল্মরাও ছায়া পাবে ।

ছায়ায় ছায়ায় খেলা, একদিন ছায়াটা সঙ্গী ।
পরদিন ছায়ায় বেঁচে ওঠা ।







হারেমের কান্না

হাত বাড়াতে চাই , দ্বন্দ্ব অনেক ।
খননকার্যের প্রোয়োজন হয়নি ।
প্রাসাদ এখনো অবিকল দাঁড়িয়ে ।

হারেমের দেওয়ালে কান্নাটা এখনো ।
বেগমরা সুখী হয়নি তবে !

কী বলছে পৃথিবী বিখ্যাত তাজমহল ?
তারও কি সেদিন কোনো কান্না ছিল ?

চারিদিকে অণূরনন ,কী ছিল ? কী নেই ?
শব্দগুলো পাথর হয়ে আছে ।







অদৃশ্য সম্পর্ক

কোনো নাম নেই , ঠিকানা নেই
তবু অদৃশ্য সেই সম্পর্কটা দৈনিক বেঁচে ওঠে ।

সম্পর্কের উঠোনে একদিন একটা বড়ো ঢেউ .......
পৃথিবীটা দুটো ভাগে ভাগ হবে।
দুই পৃথিবীতে সেদিন দুটো নতুন সভ‍্যতা ।
যুদ্ধ হবে অনেক তবু বাঁচার তাগিদ ।

তারপর বহু যুগ ও বিভাজন
একদিন অ্যানড্রয়েড আর সেই sms

নতুন পৃথিবীতে সেদিন আবার খোঁজ ।
হয়তো সেই অদৃশ্য সম্পর্কের ।





কলমী কথা

বাকি জীবনের কথা কে লিখবে ?
আমি ! না আমার কলম !

লিখতে লিখতে কোথায় থামবে ?
দাঁড়ি , কমা , সেমিকোলন , প্রশ্ন .........
জীবনের সব ঘটনার শেষে মিলে যাবে তো !

শ্রাবণের ভেঁজা রোদে
ভেঁজা শাড়ি শুকোতে হয়েছে কতবার 

চুপিচুপি দেখেছি , একা ঘরে তখন শিহরণ
শুধু মুখ লুকিয়েছি , ভেঁজা শাড়ির আঁচলে ।

সেদিনও কলমটা পাশেই ছিল । জানতেও পারেনি ।
সবাইকে ফাঁকি দিয়ে শ্রাবণের রোদ গায়ে মেখেছি ।

কলমটা পারবে এত কথা লিখতে ?