সম্পা পাল
শ্রাবণের রোদ
শব্দটা কানে আসছে , শহরের
বুকে নতুন ঢেউ ।
পুরোনো ছাদে নতুন রোদ
চড়াইয়ের পালকে উষ্ণ ছোঁয়া ।
বন্যার জল নেমে গেছে
মসজিদের ছাদে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল
সে আজ কিছুটা বড়ো ।
বানভাসিরা এভাবেই বেঁচে উঠুক ।
কী কথা হয়েছিল সেদিন কানে কানে
বোঝা গেলোনা আজও , তবে
তাতে উষ্ণতা ছিল ।
জীবনের পাওনাটা এখনও শ্রাবণের রোদে ।
এসো একদিন আমার শহরে
আমার কাছেও নদী আছে ।
তবে আমার নদী বন্যা আনে না ।
ছায়া
পৃথিবীর পাতা জুড়ে নতুন নাম ।
অনেকগুলো শুভেচ্ছার ফুল এদিকে
ওদিকে ছড়ানো ।
মেঝেতে নতুন লাল কার্পেট ।
ওখানে একটা নতুন স্বপ্ন ।
স্বপ্নটা কোনো একদিন বৃক্ষ হবে ।
আমাকে ছায়া দেবে , পৃথিবীকেও
ছায়া দেবে ।
লতা আর গুল্মরাও ছায়া পাবে ।
ছায়ায় ছায়ায় খেলা, একদিন
ছায়াটা সঙ্গী ।
পরদিন ছায়ায় বেঁচে ওঠা ।
হারেমের কান্না
হাত
বাড়াতে চাই , দ্বন্দ্ব অনেক ।
খননকার্যের
প্রোয়োজন হয়নি ।
প্রাসাদ
এখনো অবিকল দাঁড়িয়ে ।
হারেমের
দেওয়ালে কান্নাটা এখনো ।
বেগমরা
সুখী হয়নি তবে !
কী বলছে
পৃথিবী বিখ্যাত তাজমহল ?
তারও কি
সেদিন কোনো কান্না ছিল ?
চারিদিকে
অণূরনন ,কী ছিল ? কী নেই ?
শব্দগুলো
পাথর হয়ে আছে ।
অদৃশ্য সম্পর্ক
কোনো নাম
নেই , ঠিকানা নেই
তবু
অদৃশ্য সেই সম্পর্কটা দৈনিক বেঁচে ওঠে ।
সম্পর্কের
উঠোনে একদিন একটা বড়ো ঢেউ .......
পৃথিবীটা
দুটো ভাগে ভাগ হবে।
দুই
পৃথিবীতে সেদিন দুটো নতুন সভ্যতা ।
যুদ্ধ হবে
অনেক তবু বাঁচার তাগিদ ।
তারপর বহু
যুগ ও বিভাজন
একদিন
অ্যানড্রয়েড আর সেই sms
নতুন
পৃথিবীতে সেদিন আবার খোঁজ ।
হয়তো সেই
অদৃশ্য সম্পর্কের ।
কলমী কথা
বাকি
জীবনের কথা কে লিখবে ?
আমি ! না
আমার কলম !
লিখতে
লিখতে কোথায় থামবে ?
দাঁড়ি , কমা , সেমিকোলন , প্রশ্ন .........
জীবনের সব
ঘটনার শেষে মিলে যাবে তো !
শ্রাবণের
ভেঁজা রোদে
ভেঁজা
শাড়ি শুকোতে হয়েছে কতবার ।
চুপিচুপি
দেখেছি , একা ঘরে তখন
শিহরণ
শুধু মুখ
লুকিয়েছি , ভেঁজা শাড়ির
আঁচলে ।
সেদিনও
কলমটা পাশেই ছিল । জানতেও পারেনি ।
সবাইকে
ফাঁকি দিয়ে শ্রাবণের রোদ গায়ে মেখেছি ।
কলমটা
পারবে এত কথা লিখতে ?